পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নানামুখী চাপ সৃষ্টি ও বিভিন্ন অজুহাতে কর্মী ছাঁটাই বন্ধ করতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সোমবার ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) একটি প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়। বৈঠকে গভর্নর ফজলে কবির ও ডেপুটি গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এবিসি’র প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের প্রমাণ পেলে ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। ব্যাংকাররা বলেছেন, তারা ইচ্ছাকৃত কাউকে ছাঁটাই করেননি। এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কর্মীদের কারনে করোনার মধ্যে ব্যাংকগুলো আগের চেয়ে বেশি মুনাফা পেয়েছে। এরপরও অনেক প্রতিষ্ঠান অকারণে কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর ফলে পুরো ব্যাংক খাতের কর্মীরা আতঙ্কে ভুগছেন, যা দূর করতে শিগগিরই নির্দেশনা দেয়া হবে।
জানা গেছে, করোনা মহামারির সময়েও অবৈধভাবে নানামুখী চাপ সৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে ব্যাংকগুলোতে। আবার কোনো কোনো ব্যাংক বিভিন্ন অজুহাতে কর্মী ছাঁটাই করছে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ বছরের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ছয়টি বেসরকারি ব্যাংকে বিশেষ পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন তথ্য পায়। পরিদর্শনে উঠে এসেছে, করোনাকালে ছয়টি বেসরকারি ব্যাংকে আট মাসে ব্যাংকের তিন হাজার ৩১৩ জন কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন।
তাদের কেউ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। কাউকে ছাঁটাই, অপসারণ ও বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এবিবি’র প্রতিনিধিদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এবিবি’র সভায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একজন ডেপুটি গভর্নরকে (ডিজি) ভাই বলে সম্বোধন করেন। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তিনি। জবাবে জানিয়ে দেন, ডিজি কোনো ভাই না। একইসঙ্গে পরবর্তী কোনো সভায় ডিজিকে ভাই বা সাহেব বলে সম্বোধন না করার নির্দেশ দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।