রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের খাদুলী কবরস্থান উন্নয়নের নামে বরাদ্দকৃত ৯ মে.টন টিআর কোন কাজ না করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের পক্ষ থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলার খাদুলী কবরস্থান উন্নয়নের নামে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৯ মে.ট টিআর বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের অর্থ দিয়ে কবরস্থানের মাটি ভরাটসহ উন্নয়ন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ওই কবরস্থান কমিটির সভাপতি খাদুলী গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন করে গ্রামের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগসাজশ করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কোন কাজ না করে আত্মসাৎ করে। গত কয়েক বছর আগে খাদুলী গ্রামের গোলজার হোসেনের ৪৬ হাজার টাকা এবং কবরস্থানের জমি পুকুর লিজ দেওয়া অর্থে কবরস্থানটির ঘাট পাকা করণসহ মাটি ভরাট করা হয়। উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়া টিআর প্রকল্পের অর্থে এই কাজ করা হয়েছে দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বরাদ্দের পুরো অর্র্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে খাদুলী গ্রামবাসীর পক্ষে মো. সৈয়দ আলী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর বরাবর প্রতিকার চেয়ে গত রোববার লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। বিষয়টি নিয়ে খাদুলী গ্রামের একাধিক লোকের সাথে কথা হলে তরা বলেন এই গ্রামের কবরস্থানের নামে কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা কেউ জানেন না। অর্থ আত্মসাৎকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্বে প্রকাশ্য কেউ কিছুই বলছে না। রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা হলে প্রকল্প কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ৯ মে.ট টিআর উত্তোলন করে কবরস্থানের ঘাট পাকাসহ সংস্কার করা হয়েছে। কবরস্থানের ঘাটের পাকা কাজ অনেক আগে ব্যক্তি সহায়তা এবং কবরস্থানের নিজস্ব জমি পুকুর লিজ দিয়ে হয়েছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি নীরবতা পালন করে বলেন কিছু টাকা কমিটির কাছে থাকতে পারে আমার মনে হয়। মুঠোফোনে ওই প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঢাকায় আছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।