Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জয়ের সেঞ্চুরি

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৪:০৬ এএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

ইমামুল হাবীব বাপ্পি

১৯৮৬ সালে শ্রীলঙ্কার মোরাতুয়ায় এশিয়া কাপের মাধ্যমে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। অনুমিতভাবেই সেদিন রাকিবুল হাসান, গাজি আশরাফ হোসেন লিপু, গোলাম ফারুকেরা হেরেছিল ইমরান খান, তরুণ ওয়াসিম আকরাম, রমিজ রাজাদের কাছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জয়ের জন্য এর পরেও বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ্য এক যুগ। ১৯৯৮ সালে ভারতের হায়দরাবাদে ত্রিদেশীয় সিরিজে কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ গ্রহণ করে বাংলাদেশ। এরপর বিভিন্ন উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। কয়েক বছর আগেও একটু জয়ের তৃষ্ণা মেটাতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের অপেক্ষা করতে হত ম্যাচের পর ম্যাচ। ধৈর্য্যরে সেই আশান্বিত পরীক্ষায় হঠাৎ করেই মাঝে মাঝে আসত বিজয়ের ক্ষণ। কিন্তু গত কয়েক বছরে রিতিমত জয়ের অভ্যেস আয়ত্ব করে ফেলেছে টাইগার ক্রিকেটাররা। কেনিয়াকে হারিয়ে যে পথ চলা শুরু হয়েছিল, সময়ের বাহনে চড়ে সম্প্রতি মিরপুরে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ওয়ানডেতে শততম জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। এজন্য বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে ৩১৫টি ম্যাচ। ক্রিকেট পাগল বাংলাদেশীদের কাছে প্রতিটা জয়ই যেন প্রাপ্তিসুখের একেকটা বিশাল ভান্ডার। তেমনি প্রতিটা হার যেন আরো নতুন উদ্দ্যেমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার তাড়িত প্রেরণা।
প্রতিটা জয়ের পিছনেই থাকে একেকজন নায়কের গল্প। আজ সেই সব কিছু নায়কদের নিয়েই আমাদের গল্প।
১৯৯৭ সালের সেই আইসিসি ট্রফি
তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীরা ইতিহাসের প্রথম জয়টাকে তেমনভাবে মনে রাখেনি। মনে রেখেছে এর ঠিক আগের বছর আকরাম খানের গড়া সেই ইতিহাস। আইসিসি ট্রফির ফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে সেদিন আকরাম-বুলবুলরা ছিনিয়ে এনেছিল আইসিসি ওয়ানডে স্ট্যাটাসের স্বীকৃতি। কুয়ালালাম পুরের সেই ম্যাচের স্মৃতি আজও অনেকের কাছে জীবন্ত। স্টিভ টিকোলোর ১৪৭ রানের ইনিংস সেদিন ম্লান হয়ে গিয়েছিল আকরাম-বুলবুল-রফিক-নান্নুদের একাত্বে। কেনিয়া সেদিন ৫০ ওভাওে ২৪১ করলেও বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়াই ২৫ ওভারে ১৬৬ রান। শেষ বলে গড়ানো শ্বাস রুদ্ধকর সেই ম্যাচে ২্ উইকেটের জয় ছিনিয়ে এনেছিল খালেদ মাসুদরা। সেদিনও বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেটের পর ব্যাট হাতে ১৫ বলে মূল্যবান ২৬ রান করেছিলৈন রফিক। বাংলার আনাচে কানাচে সেদিন উঠেছিল উৎসবের ঢেউ। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের ক্রিকেট পৌঁছেছে অনেক উঁচুতে। প্রাপ্তির খাতায়ও যোগ হয়েছে অনেক অর্জন। কিন্তু দেশজুড়ে সেদিন যে বিজয়উৎসবে মেতেছিল পুরো বাংলাদেশ তা স্মৃতিপট থেকে কখনোই মুছে যাবার নয়।
সেদিনের জয় ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলারও মঞ্চ গড়ে দিয়েছিল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় পেলেও দুই দিন পর আরো বড় গৌরবের উপলক্ষ আবিষ্কার করে বাংলাদেশ। প্রতাপ দেখিয়ে এগিয়ে চলা পাকিস্তানকে সেদিন ৬৬ রানের পরাজয় উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ। আকরাম-খালের মাহমুদরা সেদিন ওয়াসিম আক্রামের দলকে হারিয়ে পুরো বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এক ক্রিকেট পাগল জাতি হিসেবে।
১ম জয়ের নায়ক : মোহাম্মাদ রফিক
হায়দেরাবাদের বাহাদুর শাস্ত্রি স্টেডিয়ামের সেই ত্রিদেশীয় সিরিজে টস জিতে সেদিন ব্যাট বেছে নিয়েছিল কেনিয়া। কিন্তু তাদেও বড় সংগ্রহের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান খালেদ মাহমুদ, এনামুল হকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। কেনিয়াকে ২২৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে সেদিন ৫৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন মোহাম্মদ রফিক। পওে ব্যাট হাতে আতাহার আলীর সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৭ রানের জয়ের ভিত রচনা করে দিয়ে যান রফিক, যার ৭৭ রানই ছিল তার ব্যাক্তিগত। পরে আকরাম খান, নাইমুর রহমানরা ৬ উইকেট হাতে রেখেই একদিনের ক্রিকেটে প্রথম জয়ের ইতিহাস রচনা করেন। অল-রাউন্ডার নৈপূণ্যের কারণে সেদিন ম্যাচসেরা নির্ভাচিত হন মোহাম্মাদ রফিক। এরপরও একাধীকবার বাংলাদেশের বিজয়ের সাক্ষি হয়েছেন সে সময়ের দেশ সেরা অল-রাউন্ডার।
১০ম জয়ের নায়ক : মোহাম্মাদ আশরাফুল
এরপর আবার দীর্ঘ্য ৫ বছরের অপেক্ষার পর চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পায় লাল-সবুজেরা। ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি হারের পরও পরের তিনটি জিতে প্রথম কোন সিরিজ জয়ের সাক্ষি হয়েছিল বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত টাইগাররা সবচেয়ে বেশিবার হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকেই। সবচেয়ে বেশি ম্যাচও খেলেছে জিম্বাবুইয়ানদের বিপক্ষে। ৬৭ ম্যাচে জয় ৩৯টিতে। সেই বছরই অর্থাৎ ২০০৫ সালে সেই কার্ডিফ কাব্যের জন্ম দিয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুল। ম্যাকগ্রাথ-গিলেস্পি-ক্যাচপ্রোভিচদের সেদিন ঘোল খাইয়ে ১০১ বলে ১০০ রানের কাব্যিক ইনিংস উপহার দিয়েছিলৈন আশরাফুল। সেদিনের ৫ উইকেটের জয় দিয়েই দুই অঙ্কের জয়ের সংখ্যায় প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশ।
২০তম জয়ের নায়ক : মাশরাফি বিন মুর্তজা
২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট। নাইরোবিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও কেনিয়া। কেনিয়া আর বাংলাদেশের উন্নতির গ্রাফটা পরস্পরের বিপরীতমুখি। পার্থক্যটা মাঠে স্পষ্ট করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নড়াইল এক্সপ্রেস সেদিন নেন ২৬ রানে ৬ উইকেট; যা এখনো বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। তার দূর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ ২০তম জয় নিয়ে নাইরোবি ছাড়ে। পরে ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও তরুণ মুস্তাফিজুর রহমানও। কিন্তু কেউই ‘গুরু’কে টপকাতে পারেনি।
৩০তম জয়ের নায়ক : শাহরিয়ার নাফিস
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে একসময় তার ব্যাট হেসেছে নিয়মিত। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে শাহরিয়ার নাফিসের ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। সেটি ছিল বাংলাদেশের ৩০তম জয়। ম্যাচটা আর কেউ মনে না রাখলেও তামীম ইকবাল ঠিকই মনে রাখবেন। এ ম্যাচেই যে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের সেরা ওপেনারের।
৪০তম জয়ের নায়ক : মোহাম্মদ আশরাফুল
আশরাফুলের ব্যাটে ভর করে ২০০৮ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারায় ৯৬ রানে। ওয়ানডাউনে নেমে আশরাফুল করেছিলেন ১০৯ রান। ৮৩ রান করা রকিবুল হাসানের কথাটাও না বললেই নয়।
৫০তম জয়: নায়ক তামিম ইকবাল
শততম জয়ের আগে বাংলাদেশের ৫০তম জয়েও নায়ক ছিলেন তামীম ইকবাল। এর আগে দেশের ৩০তম জয়ের ম্যাচে অভিষেক হয় তার। ৫০তম সেই জয়ের স্মৃতিও অনেকেরই মনে থাকার কথা। জিম্বাবুয়েতে সেদিন তামিম ইকবাল করেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫৪ রান। এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের যা সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ইনিংস। জিম্বাবুয়ে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে ৩১২ রানের টার্গেট দেয়। জবাবে তামিমের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ ৪ উইকেট ও ১৩ বল আগে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে। ১৩৮ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় সেদিন ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তামীম।
৬০তম জয়ের নায়ক : সাকিব আল হাসান
২০১০ সাল। ম্যাচের কথা মনে না থাকলেও সিরিজের কথা আলাদাভাবেই মনে রাখবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে সিরিজ জয় তো আর কম কথা নয়। কিউইদের বিপক্ষে সেই প্রথম সিরিজ জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান। সাকিবের পাফরম্যান্স ছিল অভূতপূর্ব। মিরপুরে প্রথমে ব্যাট হাতে ১১৩ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১০৬ রান। পরবর্তীতে বল হাতে ৫৪ রানে ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে সাকিবময় এক সিরিজে হোয়াইটওয়াশও হয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপ বাহিনী।
৭০তম জয়ের নায়ক : সাকিব আল হাসান
২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই টাইগারদের হার। তৃতীয় ম্যাচ বাংলাদেশের পয়মন্ত ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর স্টেডিয়ামে।সেই ধারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৬১ রানে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে লজ্জাজনক সেই ৫৮ রানে অলআউটের বদলাও নেয় টাইগাররা। বাংলাদেশের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন সাকিব আল হাসান। ৫ ওভারে ১৬ রানে সাকিব একাই নেন ৪ উইকেট। সহজ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ৮ উইকেট ও ৩০ ওভার হাতে রেখেই পৌঁছে যায়।
৮০তম জয়ের নায়ক : শামসুর রহমান
ফতুল্লা, ২০১৩। ক্যারিয়ারের সদ্যই দ্বিতীয় ম্যাচ শামসুর রহমানের। বাংলাদেশকে ৩০৮ রানের বিশাল লক্ষ দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে। তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মত কিউইয়দের হোয়াইটওয়াশের হাতছানি। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে ৯৬ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
৯০তম জয়ের নায়ক : তামীম ইকবাল
বিশ্বকাপ থেকে কেবল ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব মঞ্চে আশানুরুপ ব্যঅট করতে না পারায় কিছুটা সমালোচনার তোপ পড়েছিল তামিম ইশবালের ওপর। জবাওে জন্য বেছে নিলেন পাকিস্তানকে। ৮৯তম জয়ের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাকানোর পর ৯০তম জয়ের ম্যাচেও তামিমের ব্যাট থেকে আসে আরেকটি সেঞ্চুরি। দুই সেঞ্চুরিতে বন্ধ নিন্দুকের মুখ! ১১৬ রানের ইনিংস খেলে তামিম দলকে জিতিয়ে তবে মাঠ ছাড়েন। তার ব্যাটে ভর করেই প্রথমবারের মত বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ।
১০০তম জয়ের নায়ক : তামীম ইকবাল
এই জয় নিয়ে আলাদাভাবে স্মৃতিচারনা না করলেও চলে। হাফ সেঞ্চুরির মত কাকতলীয়ভাবে জয়ের সেঞ্চুরিতেও নায়ক তামীম ইকবাল। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরির মালিক এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন। ১১৮ রানের ইনিংস খেলে আফগানিন্তান ও বাংলাদেশের পার্থক্য একাই বুঝিয়ে দেন দেশসেরা ব্যাটসম্যান।

এক নজরে বাংলাদেশের ১০০ জয়
প্রতিপক্ষ ম্যাচ জয় হার টাই/ড্র
আফগানিস্তান ৫ ৩ ২ ০
অস্ট্রেলিয়া ১৯ ১ ১৮ ০
বার্মুডা ২ ২ ০ ০
কানাডা ২ ১ ১ ০
ইংল্যান্ড ১৬ ৩ ১৩ ০
হংকং ১ ১ ০ ০
ভারত ৩২ ৫ ২৬ ১
আয়ারল্যান্ড ৭ ৫ ২ ০
কেনিয়া ১৪ ৮ ৬ ০
নেদারল্যান্ডস ২ ১ ১ ০
নিউ জিল্যান্ড ২৫ ৮ ১৭ ০
পাকিস্তান ৩৫ ৪ ৩১ ০
স্কটল্যান্ড ৪ ৪ ০ ০
দ.আফ্রিকা ১৭ ৩ ১৪ ০
শ্রীলঙ্কা ৩৮ ৪ ৩৩ ১
ইউএই ১ ১ ০ ০
উইন্ডিজ ২৮ ৭ ১৯ ২
জিম্বাবুয়ে ৬৭ ৩৯ ২৮ ০
*গতকালের আগ পর্যন্ত

নিরপাত্তার অযুহাত দেখিয়ে যখন বাংলাদেশ সফর করতে গড়িমসি করছে ইংল্যান্ড দল, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশে খেলতে আগ্রহ জানায় আফগানিস্তান। ৩টি ওয়ানডে খেলতে ঢাকায় আসা দলটিকে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে হারিয়ে শততম জয়ের মাইলফলক স্পর্ষ করে মাশরাফি বাহিনী

এই সেই মূহুর্ত- ১৯৯৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে যে পথ চলা শুরু হয়েছিণেলা, আজ গুটি গুটি পায়ে জয়ের শততম বন্দরে নৌকা ভিড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তখনকার গর্বিত অধিনায়ক আকরাম খান



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জয়ের সেঞ্চুরি
আরও পড়ুন