যেভাবে ৫০০
ক্লাব ফুটবলে গোলের প্রায় সব রেকর্ডই তার দখলে। এবার সেই লিওনেল মেসি উঠে গেলেন আরেক উচ্চতায়। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে ৫০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মেসি।
ইমামুল হক বাপ্পী : সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বার্সেলোনার। টানা দ্বিতীয়বারের মত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। ঘরোয়া লিগে বর্তমান অবস্থানটাও পোক্ত নয়। খাতা কলমের হিসেবে অবশ্য শিরোপার আশা শেষ হয়ে যায়নি। একমাত্র সম্ভব্য শিরোপা বলতে গেলে কোপা দেল রে। সেখানে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ লা লিগার নবীন দল আলাভেস। কিন্তু দলটি যেহেতু বার্সেলোনা সেহেতু একটি মাত্র শিরোপায় তুষ্ট থাকবে কেন। অজানা কারণে মৌসুম শেষেই বিদায় নেবেন কোচ লুইস এনরিকে। আসবেন নতুন কেউ। খেলোয়াড়ের তালিকাতেও হতে পারে রদ-বদল। তাহলে আসছে মৌসুমে কি অপেক্ষা করছে বার্সার জন্যে? গোল ডট কমের দৃষ্টিতে চলুন জেনে নেয়া যাক কিছু তথ্য...
জুভেন্টাসের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে বিদায় নিলেও এখনো বার্সার সামনে সুযোগ রয়েছে দু’টি শিরোপা জেতার। ঘরোয়া লিগ ও কোপা দেল রে। লিগে এক ম্যাচ কম খেলেও তাদের চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে চীরপ্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। বলতে গেলে তাই ব্যবধানটা ছয় পয়েন্টের। এর মধ্যে তিন পয়েন্টের ব্যবধান ঘোচানোর সুযোগ আছে বার্সার হাতে। আগামীকালের এল ক্ল্যাসিকোয় থাকছে সেই সুযোগ। এরপর তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে রিয়ালের ব্যবর্থতার দিকে। কিন্তু অর্ধযুগ ধরে লিগ শিরোপার জন্য ব্যাকুল জিনেদিন জিদানের দল সেই সুযোগ দেবে বলে মনে হয় না।
এদিকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের মৌসুম শেষ হতে খুববেশি বাকি নেই। এখন থেকেই তাই শুরু হয়ে গেছে পুরো মৌসুমের হিসাবটা মিলিয়ে নেয়ার। দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো সুধরে নিতেও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এজন্য কিছু খেলোয়াড়কে হয়তো ছেড়ে যেতে হবে প্রিয় ক্লাব, আসবে নতুন কেউ। বার্সেলোনার দিকে নজর দিলে দেখা যাবে মৌসুম জুড়ে দলটিকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে রক্ষণ। সাভাবিক দৃষ্টিতেই এই দুর্বলতা ছিল স্পষ্ট। মাঝমাঠেও খুব বেশি ছন্দে ছিল না দলটি। আসছে দলবদলে এই দুটি দিকেই কাতালান দলটির থাকবে বাড়তি নজর। চলুন খেলোয়াড় বাই খেলোয়াড় আলোচনা করা যাক।
লিওনেল মেসি
আসছে মৌসুমে ত্রিশে পা দেবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ও দলের প্রাণভোমরা। এখনো বার্সার আক্রমণের আসল হাতিয়ার তিনিই। পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী ক্যারিয়ারের শুরুই করেছেন ন্যু ক্যাম্পে। ক্যারিয়ারের ইতিটাও যে এখানেই টানতে চান সেটা তিনি অনেকবারই জানিয়েছেন। তবে রহস্য একটা রয়েই গেছে। বার্সার সাথে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০১৮ সালে। কিন্তু চুক্তি নবায়ণের কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না কোন পক্ষেই। দীর্ঘ পরিকল্পনার জন্য বার্সা কতৃপক্ষের যার মিমাংশা করাটা খুবই জরুরি।
নেইমার
প্রতি দলবদলের বাজারে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় একটি নাম, হা হলÑ নেইমার। গত মৌসুম শেষে ক্লাবের সাথে আগামী ৫ বছরের নতুন চুক্তি করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। মেসির সাথে তার সক্ষতা, ও মাঠের পারফর্ম্যান্স সবকিছু প্রমাণ করে, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ২৫ বছর বয়সী তারকা। এমন অস্ত্রকে বেঁচবে কেন বার্সা।
লুইস সুয়ারেজ
‘এমএসএন’ খ্যাত বার্সা আক্রমণের আরেক ত্রিফলা হলেন লুইস সুয়ারেজ। ঘরোয়া লিগে সর্বোচ্চ গোল করে গত মৌসুমে জেতেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট। বিশ্বের সেরা সেন্টার ফরোয়ার্ড ভাবা হয় তাকে। ন্যু ক্যাম্পে তার পারফর্ম্যান্সও ঈর্ষনীয়। কিছুদিন আগেই ক্লাবের সাথে নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ছেন উরুগুয়ান তারকা।
সার্জিও বুসকেটস
চলতি মৌসুমে চেনা ছন্দে ছিলেন না তবে এখনো বার্সার মিডফিল্ডের অন্যতম ভরসার নাম সার্জিও বুসকেটস। নতুন কোচের অধীনে হয়তো ফিরবে তার সেই চেনা ফর্ম। কোন কারণে যদি ন্যু ক্যাম্পে তিনি ব্রত হন তাহলে যে কোন দলই চাইবে তাকে দলে টানতে। তবে এমন সম্ভবনা অবম্য নেই বললেই চলে।
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা
কিছুদিন পরেই ৩৩ স্পর্শ করবেন এই স্প্যানি মিডফিল্ডার। যে কোন সময়ই হয়ত ক্যারিয়ারকে বিদায় বলতে পারেন। তবে তার পারফর্ম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করার মত লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখনো দলের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা তিনিই। বল পায়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে নাকানিচুবানি খাওয়ানোর ওস্তাদ ইনিয়েস্তা। দুরহ সব পাস ও মেসিদের সাথে সেই সমোঝতা এখনো অটুট। মিডফিল্ডে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরাও ভাবা হয় তাকে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এখনো কয়েক মৌসুম ন্যু ক্যাম্পে দেখা যাবে তাকে।
জেরার্ড পিকে
বাহুবন্ধনী ছাড়াই এই ৩০ বছর বয়সী সেন্টার ব্যাককে ভাবা হয় দলের অধিনায়ক। তার উপর থাকে দলের বড় একটা ভার। তাকে ভাবা হয় দলের ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট। তার অবস্থানে তিনিই সেরা। ক্যারিয়ারটাও যে ন্যু ক্যাম্পেই শেষ করবেন তা বলাই যায়।
স্যামুয়েল উমতিতি
গেল মৌসুমে ন্যু ক্যাম্পে যোগ দেয়ার পর খুব কম সময়েই তাকে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে। বার্সার রক্ষণের অন্যতম ভরসাতে পরিণত হয়েছেন এই ফরাসি তরুণ। লা লিগায় উমতিতি খেলেছেন এমন কোন ম্যাচে হারেনি বার্সা। ফলে তার উপর আস্থা রাখাই যায়।
ইভান রাকিটিচ
তিন মৌসুম আগে ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার সেভিয়া থেকে যোগ দেন কাতালান শিবিরে। এখনো পর্যন্ত তার কাছ থেকে প্রত্যাশানুযায়ী পারফর্ম্যান্স পায়নি বার্সা। তবে এখনো দলের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় ভাবা হয় তাকে। সম্প্রতি তার সাথে চুক্তির মেয়াদও বাড়িয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষ। মাঝে ম্যানচেস্টার সিটি তার উপর আগ্রহের কথা জানিয়েছিল।
সার্জিও রবের্তো
রাইট-ব্যাকে দানি আলভেসের অভাবটা পূরণের দায়ীত্ব তার উপর। এমনিতে ভালোই কিন্তু প্রতিপক্ষ কঠিন হলে তাল হারিয়ে ফেলেন মাঝেমধ্যে। তবে তার গুরুত্ব অন্যখানে। যে কোন অবস্থানেই যে কোন সময় মানিয়ে নিতে পারেন। স্কোরবোর্ডেও নাম লেখাতে দেখা যায় মাঝেমধ্যে। পিএসজি ম্যাচে মহামূল্যবান শেষ গোলটিও এসেছিল তার পা থেকে। তাছাড়া ড্রেসিংরুমেও খুবই জনপ্রিয় রবের্তো।
মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেন
ক্লাদিও ব্রাভো চলে যাওয়ার পর দলের এক নম্বর পছন্দের তিনি। জার্মান গোলরক্ষককে ভাবা হয় বিশ্বের সেরা কয়েকজনের মধ্যে একজন হিসেবে। এর প্রমাণও তিনি দিয়ে চলেছেন প্রতি ম্যাচে। ফলে তার বিকল্প ভাবার কোন কারণই নেই।
জেসপার কিল্লিসেন
টার স্টেগেনের বিকল্প হিসেবে গত মৌসুমে ডাচ গোলরক্ষকে দলে নেয় বার্সা। তার অবস্থানে বেশ ভালোই করছেন জেসপার। তার প্রতিযোগীতায় (কোপা দেল রে) দলকে তুলেছেন ফাইনালে। ফলে তাকে পরিবর্তনের তেমন কোন সম্ভবনা নেই।
জর্ডি আলবা
লুইস এনরিকে ৩-৪-৩ ফর্মেশনে যাওয়াতে দলে প্রায়-ই অনিয়মিন এই স্প্যানিশ লেফ্ট-ব্যাক। তবে আলবা হতে পারেন নতুন কোচের প্রথম পছন্দ। ফুল ব্যাকেও কার্যকর আলবা। সব মিলে তার মত একজনকে বিক্রির কথা হয়ত ভাববে না বার্সা।
অ্যালেক্স ভিদাল
মারাত্মক চোটে পড়ে গত ফেব্রæয়ারি থেকেই মাঠের বাইরে এই রাউট-ব্যাক। কাতালান দলে নিজেকে প্রমাণ করার সময়েই পড়েন ইনজুরিতে। চোট কাটিয়ে দলে ফিরে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেতেই পারেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
ড্যনিস সুয়ারেজ
২৩ বছর বয়সী স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বাই-ব্যাক চুক্তিতে গত গ্রীষ্মে ন্যু ক্যাম্পে যোগ দেন। এখন পর্যন্ত অবশ্য নিজেকে প্রমাণের তেমন সুযোগ পাননি তিনি। সেই সুযোগ অবশ্যই দেবে বার্সা।
সার্জি স্যাম্পার
গ্রানাডায় ধারে খেলছেন ২২ বছর বয়সী স্প্যানিশ। নিজেদের ক্যাম্পে তৈরি এই মিডফিল্ডার প্রধান একাদশে খেলার দাবি করতেই পারেন। ভবিষ্যতে সার্জিও বুসকেটস এর বিকল্প ভাবা হয় তাকে। আসছে মৌসুমেই হয়ত একাদশে দেখা যাবে তাকে।
হাভিয়ের মাচেরানো
ফর্মটা হঠাৎ করেই যেন পড়ে গেল আর্জেন্টাইন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের। তবে ড্রেসিংরুমে এখনো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম মাচেরানো। নতুন কোচের অধীনে নিজেকে ফিরে পাওয়ার সুযোগ হয়তো ক্লাবের কাছ থেকে পাবেন তিনি। গত মৌসুমেই নতুন চুক্তিতে সাক্ষর করেন ৩২ বছর বয়সী।
রাফিনহে
চোটের কারণে বর্তমান দরের বাইরে। কোচ এনরিকে ৩-৪-৩ ফর্মেশনে যাওয়াতে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হন এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। তবে নতুন কোচ যদি এই ফর্মেশনটা অপছন্দ করেন সেক্ষেত্রে আসন্ন গ্রীষ্মের দলবদলে তাকে ছেড়েও দিতে পারে বার্সা।
পাসো আলকাসের
৩০ মিলিয়ন ইউরোর মত মোট অর্থ ব্যায়ে ২৩ বছর বয়সী স্প্যনিশ স্ট্রাইকারকে কিনে নেয় বার্সা। কিন্তু মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের ভিড়ে মাঠে নামার সুযোগ পান কালে ভদ্রে। এরপরও নতুন ফলোয়ার্ড কিনতে পারে বার্সা। তার মানে আসছে মৌসুমেও তাকে দলে নিয়মিত দেখা না যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
মুনির এল হাদ্দাদি
মনির ভ্যালেন্সিয়ায় ধারে খেলতে যাওয়াতেই আলকাসেরকে নেয়া হয়েছিল। মাস্তালায় কঠিন সময় পার করলেও বার্সার বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে দুই ম্যাচেই গোল করেন মুনির। আসছে মৌসুমে তাকে হয়তো বার্সার খুব বেশি দরকার হবে না। সেক্ষেত্রে আলকাসেরের মত ভাগ্য হতে পারে তারও।
আন্দ্রে গোমেস
পর্তুগিজ মিডফিল্ডার খেলোয়াড় হিসেবে মন্দ নয়। তবে বার্সার সার্জিতে ঠিকমত নিজেকে প্রমাণ করতে পারছেন কই। আসছে মৌসুমে বার্সা চাইবে দলে নতুন কিছু হিং¯্র ডিফেন্ডার যোগ করতে। সেক্ষেত্রে তার ভাগ্যে কি আছে তা বলা মুশকিল।
লুকাস ডিগনিয়া
চলতি মৌসুমে দলে এসেই শুরুটা ভালোই করেছিলেন ফরাসি ফুলব্যাক। কিন্তু সময়র গড়ানোর সাথে ¤øান হতে থাকে তার পারফর্ম্যান্স। রক্ষণের বেস্ট ব্যাক-আপ খেলোয়াড় ভাবা হয় তাকে। বড় প্রস্তাব না পাওয়া পর্যন্ত হয়তো তাকে ছাড়বে না বার্সা।
আর্দা তুরান
ভাগ্যকে হয়তো ভালোমত পাশে পাননি তুর্কিশ মিডফিল্ডার। নেইমারের পাশে মৌসুমের শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু মিডফিল্ডে আসতেই বিপত্তি। চোটের কারণে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে। নিজেকে ফিরে পাওয়ার সুযোগ তিনি পেতেই পারেন।
জেরেমি ম্যাথিউ
ফরাসি ডিফেন্ডার প্রথম মৌসুমে ভালোই খেলেছিলেন, কিন্তু চলতি মৌসুমে তার পারফর্ম্যান্স ভালো মন্দের মাঝামাঝি। জুভেন্টাসের বিপক্ষেও ভুগতে দেখা গেছে তাকে। বার্সার মত দলে শুরুর একাদশ সুযোগ পাওয়া একটা খেলোয়াড়ের কাছে চাহিদা থাকে আরো অনেক বেশি।
টমাস ভার্মেলন
ধারে খেলতে যাওয়া রোমা থেকে হয়ত ফিরতে পারেন বেলজিয়ান সেন্টার ব্যাক। আসছে মৌসুমে নিয়মিত একাদশেও দেখা যেতে পারে ৩১২ বছর বয়সীকে।
ক্রিশ্চিয়ান তেলো
বর্তমানে ধারে খেলছেন ফিওরেন্তিনায়। তেলো ভালো খেলোয়াড় কিন্তু দলটি বার্সেলোনা বলে একটু বাড়তি কিছুই তো করে দেখাতে হবে তাকে। চলতি মৌসুম শেষে তাই বিক্রির তালিকায় উঠতে পারে তার নাম।
ডগøাস
বার্সা দলে তার সংজোযন একটা রহস্যই রয়ে গেছে। তাকে কেন কেনা হয়েছিল এর সঠিক কোন জবাব নেই। বর্তমানে স্পোর্টিং গিজনে খেলছেন ধারে। আসছে গ্রীষ্মে তাকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে। তবে দলে ধরে রাখার জন্য নয়। বিক্রি করতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।