বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োজন। এজন্য আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম।
আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এনটিসিসি কার্যালয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, আমাদের বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল—এফসিটিসির সাথে অনেকাংশে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। যার ফলে আইনটির মূল উদ্দেশ্য তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণকে জোরদার করতে যতোদ্রুত সম্ভব বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা জরুরি।
বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে যেসব ক্ষেত্রে সংশোধন দরকার তার মধ্যে রয়েছে: সব ধরনের গণপরিবহন ও পাবলিক প্লেসে তামাক ব্যবহার শতভাগ নিষিদ্ধ করা, দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি এবং তামাকদ্রব্যের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অধিশাখা) নিলুফার নাজনীন, উপসচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য-১) মো. সাদেকুল ইসলাম, উপসচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য-২) খন্দকার জাকির হোসেন, সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং এনটিসিসি’র কর্মকর্তাবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।