বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শবে বরাত-৩
সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে : হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
গত আলোচনায় উল্লিখিত তিনটি আয়াতে হযরত নূহ (আ.)-এর পর খলীফা হিসেবে নির্বাচিতদের কথা এবং আদ জাতির পর খলীফা হিসেবে নির্বাচিতদের কথা এবং সামগ্রিকভাবে পূর্ববর্তীদের পরে খলীফা রূপে নির্বাচিতদের কথা বলা হয়েছে। তাদের কেউই ধ্বংসের হাত হতে রেহাই পায়নি। কারণ তারা ছিল আল্লাহ দ্রোহী। আর খলীফা শব্দের বহু বচন খালাইফা শব্দটি আল কোরআনে চারবার এসেছে। যথা :
(ক) তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে খলীফা করেছেন এবং এককে অন্যের ওপর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন, যাতে তোমাদেরকে এ বিষয়ে পরীক্ষা করেন, যা তোমাদেরকে দিয়েছেন। আপনার প্রতিপালক দ্রুত-শাস্তিদাতা এবং তিনি অত্যান্ত ক্ষমাশীল দয়ালু। (সূরা আনয়াম : আয়াত-১৬৫)।
(খ) অতঃপর আমি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের পরে খলীফা বানিয়েছি, যাতে দেখতে পারি তোমরা কি কর? (সূরা ইউনুস : আয়াত-১৪)।
(গ) তারপর ও তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল; সুতরাং তাকেও তার সাথে নৌকায় যারা ছিল তাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছি এবং যথাস্থানে আবাদ করেছি। আর তাদেরকে ডুবিয়ে দিয়েছি যারা আমার কথাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং লক্ষ্য কর, কেমন পরিণতি হয়েছিল তাদের যাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। (সূরা ইউনুস : আয়াত-৭৩)।
(ঘ) এবং তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে স্বীয় খলীফা করেছেন। অতএব যে কুফরী করবে তার কুফরী তার উপরই বর্তাবে। কাফেরদের কুফর কেবল তাদের পালনকর্তার ক্রোধই বৃদ্ধি করে এবং কাফেরদের কুফর কেবল তাদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে। (সূরা ফাতির : আয়াত-৩৯)।
এই চারটি আয়াতে সুস্পষ্টভাবে বলেদেয়া হয়েছে যে বা যারা খলীফা বা প্রতিনিধি সুলভ দায়িত্ব প্রাপ্তির পর কুফরী করবে, তাদের নিস্তার নেই। আল্লাহ পাক তাদেরকে কঠিন শাস্তিতে নিমজ্জিত করবেন। এই শাস্তি হবে দুনিয়া জোড়া। দুনিয়ার সকল অংশেই তার বিস্তার ঘটবে। যেমনটি বর্তমান করোনাকালে আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই করোনা একদিকে যেমন শাস্তি অন্যদিকে নাবুওয়াতের পদ্ধতি অনুযায়ী খেলাফত প্রতিষ্ঠার পূর্বাভাব।
কেননা, বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মাদ মুস্তাফা আহমাদ মুজতাবা (সা.) বলেছেন : ইয়াহুদীদের নেতৃত্ব দিতেন নবীগণ। একজন নবী মৃত্যু বরণ করলে অন্যজন তার স্থান পুরন করতেন। কিন্তু আমার পরে কোনো নবীর আগমন ঘটবে না। তবে খলীফা হবেন। তাদের সংখ্যা হবে একের অধিক অর্থাৎ অনেক। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)। আমরা এমনই একজন খলীফার আগমনের প্রহর গুণে চলেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।