Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পেরুর বিপ্লবী নেতার মৃত্যু!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরুর শাইনিং পাথ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা অ্যাবিমায়েল গুজম্যান (৮৬) আর নেই। দর্শনশস্ত্রের সাবেক এই অধ্যাপক ১৯৯২ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করে আসছিলেন।
গত জুলাই মাসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় কারাগার থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। মাওবাদী এই গেরিলা গোষ্ঠী এবং পেরুর রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।
গুজমানের গ্রেফতার শাইনিং পাথ বিপ্লবী সংগঠনটিকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছিল। কিন্তু এর কয়েকজন সদস্য এখনও সক্রিয় আছেন। অ্যাবিমায়েল গুজম্যান পেরুর দক্ষিণ উপক‚লের মোলেন্দো শহরের কাছে ১৯৩৪ সালের ডিসেম্বরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক ধনী বণিক বাবার ঘরে। গুজম্যানের মা মারা যাওয়ার পর সেই বাবাই তাকে বড় করেছিলেন।
১৯৬৯ সালে তিনি এবং অন্য ১১ জন মিলে শাইনিং পাথ, স্পেনিশ ভাষায় সেন্ডেরো লুমিনোসো নামের একটি বিপ্লবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পেরুর কমিউনিস্ট জোসে কার্লোস মারিয়েতেগুইয়ের স্মরণে এই নামটি বেছে নেওয়া হয়েছিল, যিনি বলেছিলেন, ‘মার্কসবাদ-লেনিনবাদ হল ভবিষ্যতের উজ্জ্বল পথ’।
১৯৮৩ সালে সান্টিয়াগো ডি লুকানামারকা এলাকায় এবং আশেপাশে ৬৯ জন স্থানীয় লোককে কুড়াল, গুলি এবং বন্দুক দিয়ে হত্যা করার পর তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন আরও কমে যায়।
কিন্তু নৃশংসতা শুধু গ্রামাঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল না। ১৯৯২ সালে লিমার মিরাফ্লোরেস জেলায় শাইনিং পাথ দু’টি ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ২৫ জনকে হত্যা এবং আরও ১৫৫ জনকে আহত করেছিল।
১৯৯২ সালের সালের সেপ্টেম্বরে পেরুর গোয়েন্দারা অবশেষে লিমাতে একটি নাচের স্টুডিওর উপর থেকে গুজম্যানকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকেই শাইনিং পাথের বিদ্রোহ স্তিমিত হয়ে আসে। সূত্র : বিবিসি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ