Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোরে নানা পরিচয় দেয়া সেই ইদ্রিস আলম আটক, সাংবাদিক কার্ড উদ্ধার

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৩৮ পিএম

যশোরে আলোচিত সেই ইদ্রিস আলমকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি কখনো সাংবাদিক, কখনো আইনজীবী, কখনো শ্রমিক নেতা আবার কখনো আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকেন প্রতিনিয়ত।
আইনজীবী সমিতির সহযোগিতায় তাকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয়তলা থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ইদ্রিস আলম যশোর সদর উপজেলার পূর্ব পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত শামসুর রহমানের ছেলে।

আটক ইদ্রিস আলমের কাছ থেকে বিভিন্ন অখ্যাত পত্রিকার ৫টি পরিচয়পত্র, দুইটি পেনড্রাইভ, চারটি মোবাইল ও শ্রমিক ইউনিয়নের দুইটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি ও টাউট উচ্ছেদ কমিটির আহবায়ক খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল।

তিনি জানান, অভিযানের সময় ইদ্রিসের ঘনিষ্ঠ সহকারী টিটো ও তার কম্পিউটার অপারেটর নাইম পালিয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, ইদ্রিস একসময় আইনজীবী সহকারী ছিলেন। পরে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সমিতিতে নানা প্রতারণার অভিযোগ আসে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণও পাওয়া যায়। একপর্যায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। একই সাথে আদালত চত্বরে না আসার জন্যও বলা হয়। কিন্তু তিনি সমিতির সিদ্বান্ত অমান্য করে প্রতিনিয়ত আদালতে গিয়ে বিচারপ্রার্থীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। বিষয়টি ফের সমিতির নজরে আসে। সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশেষ অভিযানে তাকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম শাহীন বলেন, আদালত চত্বরে ইদ্রিস বিভিন্ন ধরণের অপকর্মে জড়িত। অনিয়ম দুর্নীতির বিপক্ষে সমিতি কঠোর অবস্থানে আছে। কোনো ধরণের অনিয়মের ছাড় দেবেন না তারা।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ আদালতে যেয়ে ইদ্রিস আলমকে হেফাজতে নিয়েছে। ইদ্রিস আলমের সার্বিক বিষয় নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতিতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন থানা ও জেলা প্রশাসকের কাছেও ভুক্তোভোগিরা অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর নামে চার লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। একপর্যায় আদালত চত্বরে তার প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে জেলা আইনজীবী সমিতি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতারণা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ