পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এহসান গ্রুপের ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এমএলএম কোম্পানির ফাঁদ তৈরি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ক্ষোভে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সাধারণ নিরীহ মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এই ঘটনায় ফেসবুকে অনেকেই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। অপরাধীদের কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন।
এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান সুদবিহীন বিনিয়োগের কথা বলে সাধারণ মুসলমান, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যুক্ত ব্যক্তি, ইমাম শ্রেণি ও অন্যান্যদের টার্গেট করে ১৭ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন । তিনি শরিয়তসম্মত সুদবিহীন বিনিয়োগের বিষয়টি ব্যাপক প্রচারণা করে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতেন। এসব প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান (৪১) ও তার সহযোগী মো. আবুল বাশার খানকে (৩৭) গ্রেফতার করে র্যাব-১০।
এহসান গ্রুপের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘বর্তমানে দেশে ইসলামী কো-অপারেটিভ, ফাইন্যান্স, এন্ড মাইক্রো ক্রেডিট নামে নিবন্ধিত লক্ষ লক্ষ সমিতি/কোম্পানি ব্যবসা করছে। এরা যে প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করে তার ৯৮ শতাংশ সুদের কারবার। নামের আগে ইসলাম লাগিয়ে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে সুদের এই অপকর্মে জড়িতদের বেশিরভাগই বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতা কর্মী।’’
মোহাম্মাদ ইউনুস মিয়ার দাবি, ‘‘সব সম্পদ নিলামে বিক্রি করে গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি সরকারকে মুনাফাসহ। আর সব শয়তান গুলোকে দ্রুত ফাঁসি দিন যাতে আর কোন কেউ এরকম বাটপারি করে মানুষের টাকা মেরে না খায়।’’
ইউসুফ আলী লিখেছেন, ‘‘এর হুজুরের ছদ্দবেশে নিরীহ মা বোনের টাকা আত্মসাত করে আজ কোটি কোটি টাকা কামিয়ে চম্পট দেয়।যারা কর্মী হিসেবে ছিল,তারা আজ বড় অসহায় হয়ে দিনাতিপাত করতেছে।আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো অনতিবিলম্বে গরীব ও নিরীহ মানুষগুলোর টাকা আদায় করে ভন্ড হুজুর থেকে যার যার প্রাপ্য পাওনা দেওয়ার জন্য।’’
ইব্রাহিম আরফান লিখেছেন, ‘‘তারা আবার বলে ইসলামি ব্যাংক বলতে বাংলাদেশ কিছু নেই সব ভণ্ডামি সব গুলাই সুদ। কিন্তু একটু খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে তাদের একাউন্ট গুলা ইসলামি ব্যাংকে। যাই হোক মূল কথা হচ্ছে তারা সুদ খাবে না পুরাটায় মেরে দিয়ে চলে যাবে। নানা অজুহাতে ফতোয়া ছারতে থাকবে।’’
তাসনিম আলম লিখেছেন, ‘‘ইহসান গ্রুপের রাগীব আহসান গ্রেপ্তার হয়েছে,পিরোজপুর আর বরিশালের সাধারণ মানুষের কয়েক হাজার কোটি টাকা ধর্মীয় লেবাসে আত্মসাৎ করেছে এই গ্রুপ। আর এই গ্রুপকে ওয়াজের মঞ্চে প্রোমোট করেছেন বিখ্যাত সুরের গল্পকার কুয়াকাটা হুজুর। ই-অরেঞ্জের জন্য মাশরাফিকে দোষী বলা হলে,কুয়াকাটাকে কি দোষী বললে আমার পাপ হবে?’’
সিনিয়র সাংবাদিক সালেহ আকন লিখেছেন, ‘‘কতিপয় আলেম যখন প্রতারণা করে মানুষের টাকা মেরে দেন; তখন বুঝতে বাকি থাকেনা, ‘কিয়ামত অতি নিকটে’।’’
উল্লেখ্য, রাগীব আহসান ১৭টি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেন। তার বিরুদ্ধে ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে। লাখ টাকার বিনিয়োগে মাসিক মাত্রাতিরিক্ত টাকা প্রাপ্তির প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৮ সালে ১০ হাজার গ্রাহককে যুক্ত করেন। এখন তার গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক।
গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর তোপখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভাউচার বই ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।