Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় সাংবাদিক সমাবেশে দাবি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও রুহুল আমিন গাজিকে মুক্তি দিন

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৩৩ পিএম

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে বাতিল ও কারাবন্দী বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তি দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতারা। আজ শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বগুড়ায় এক সাংবাদিক সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, সরকার ভিন্নমত দমন ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের নির্বিচারে অপব্যবহার করছে। এতেও সরকার সন্তুষ্ট হতে পেরে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত স্বাধীন মতামত বন্ধ করতে এখন ডেটা প্রোটেকশন আইন নামের আরেকটি কালাকানুন করছে।

সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া (জেইউবি) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে শহরের টিএমএসএস মিলনায়তনে এ সাংবাদিক সমাবেশের আয়োজন করে। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন। সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সভাপতি মীর্জা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সাধারন সম্পাদক গণেশ দাস, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি আব্দুর রহীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ মন্ডল, নির্বাহী সদস্য এস এম আবু সাঈদ, আতাউর রহমান মিলন প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সহ-সাধারন সম্পাদক মো: আব্দুল ওয়াদুদ।
শওকত মাহমুদ বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আল্লাহ প্রদত্ত, কিন্তু বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার মত প্রকাশ ও ভোটের অধিকার হরণ করেছে। ভোট দেওয়ার মধ্য দিয়েও মানুষ এক ধরনের মত প্রকাশ করে। অতএব ভোটাধিকারও আল্লাহ প্রদত্ত অধিকার। তিনি বলেন, এখন দেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামী পন্থী সাংবাদিক হিসেবে বিভাজন নেই। আছে ফ্যাসিবাদের পক্ষের শক্তি ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি। জড়তা কাটিয়ে সাহসের সাথে ফ্যাসীবাদী শাসনের পতন আন্দোলন জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতার করে দীর্ঘদিন আটক রাখা সরকারের সাংবাদিক নিপীড়নেরই ধারাবাহিকতা। তিনি অবিলম্বে রুহুল আমিন গাজীর মুক্তি দাবি করেন।
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিক নির্যাতন-নিপীড়ন ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। প্রতি মাসে গড়ে ৬ থেকে ৮ জন করে সাংবাদিক হামলা, মামলাসহ নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ক্ষমতাধররা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে তাদের দুর্নীতি লুটপাটের রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করছে। নির্যাতন, নিপীড়ন ও গণমাধ্যম দলনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজকে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, রুহুল আমিন গাজী দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাঁকে বানোয়াট মামলায় গ্রেফতার করে দশ মাস কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি না দিলে বিএফইউজে’র নেতৃত্বে সাংবাদিক সমাজ সারাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে। বিএফইউজের মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরেছে। দাগী খুনি, সন্ত্রাসীদের জামিন হচ্ছে প্রতিদিন, অথচ শীর্ষ সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর জামিন নিয়ে টালবাহান চলছে। এটা চরম অন্যায়। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ