প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
শুটিং ফ্লোরে বিপাকে পড়লেন কার্তিক আরিয়ান। কমেডি হরর ছবি ‘ভুল ভুলাইয়া ২’-এর ক্লাইম্যাক্স শ্যুটিংয়ের সময়ে হঠাৎ করে কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেললেন অভিনেতা। জানা গিয়েছে শ্যুটিং করতে গিয়ে ল্যারিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কার্তিক আরিয়ান। অবস্থা এমনই যে তার গলা দিয়ে কোনও আওয়াজ বেরোচ্ছে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ ছবির ক্লাইম্যাক্সের শুট করছিলেন কার্তিক আরিয়ান। একটি চিৎকার করার দৃশ্য শুট করছিলেন তখন। আর সেই শুট করতে গিয়েই হঠাৎই কার্তিক দেখলেন তার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। কার্তিকের এই অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে পরিচালক শুটিং আটকে দিলেন। শুটিং ফ্লোরেই নিয়ে আসা হয় চিকিৎসককে।
ডাক্তার জানিয়েছেন, কার্তিক আরিয়ান ল্যারিনজাইটিসে-এ আক্রান্ত হয়েছেন। তাই হঠাৎ করে কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছেন কার্তিক। চিকিৎসকের কথায়, তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। গলা বিশ্রাম পেলেই এটি ঠিক হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, এই শুটিংয়ে কার্তিকের সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী টাব্বুও।
ছবির পরিচালক অনীজ বাজমি বলেন, ‘আমরা সবাই ভীষণ চার্জড আপ ছিলাম। অমন ড্রামাটিক লেভেলে টাব্বু ও কার্তিক একে অপরের বিরুদ্ধে যেভাবে অভিনয় করছিলেন তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। আমরা প্রত্যেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। একটি দৃশ্যকে পারফেক্ট করার জন্য কার্তিক সব রকম রিস্ক নিতে পারে। ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য ওকে এতটাই চিৎকার করতে হল যে গলার স্বর বসে গেল। কিন্তু তাতে কার্তিকের উৎসাহে অবশ্য কোনও ঘাটতি হয়নি। একেই বলে ডেডিকেশন।’
কাকতালীয় ব্যাপার হল, প্রথম ‘ভুল ভুলাইয়া’ শুটিংয়ের সময় একটি দৃশ্যে অভিনয়ের সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন বিদ্যা। আর এবার কার্তিকের সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটল।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ভুল ভুলাইয়া’। ছবিতে অক্ষয়-বিদ্যার দুর্দান্ত অভিনয় আর গোছানো গল্পই মন কেড়েছিল দর্শকদের। স্বাভাবিকভাবেই তাই এর সিক্যুয়েল নিয়েও উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। অক্ষয়ের জুতোয় পা গলিয়ে কার্তিক কেমন অভিনয় করেন, তা নিয়েও আগ্রহ তুঙ্গে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।