বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চরজব্বর থানার ওসি মো. জিয়াউল হকের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে এক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৪ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী উপজেলার ৪নং চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনির আহমেদ (৬৪) চরজব্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতারণার ঘটনাটি ধরা পড়ে। এরআগে ৮টি বিকাশ নম্বরে ৪ লাখ টাকা নিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
পুলিশ জানায়, চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির আহমেদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে দুটি নম্বর থেকে কল আসে। এ সময় কলদাতা নিজকে অফিসার ইনচার্জ চরজব্বর থানা বলে পরিচয় দিয়ে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করার উদ্দেশ্যে তার নিকট টাকা চায়। এরপর তিনি সাথে থাকা আরেক ব্যক্তিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নোয়াখালী পরিচয় দিয়ে বলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শমত অন্যান্য অফিসারদেরকে ম্যানেজ করার জন্য চার লক্ষ টাকা পাঠানোর জন্য বলেন।
ওসি পরিচয়দানকারী ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যক্তিগত ৮টি বিকাশ নম্বরে মনির চেয়ারম্যান পঞ্চাশ হাজার টাকা করে চার লক্ষ টাকা প্রেরণ করে। টাকা পাঠানের পরে ওসি পরিচয়দানকারী প্রতারক ব্যক্তি রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যানকে থানায় এসে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে বলেন। রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যান থানায় এসে প্রকৃত ওসির সাথে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
চর জব্বার থানার ওসি জিয়াউল হক এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, আমার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরটি ক্লোন করে একাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্নভাবে প্রতারিত করার খবর ভুক্তভোগী কয়েকজন সরাসরি থানায় এসে জানান। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।