গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে হওয়া দুর্নীতির পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবস্থান নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিকারীদের না ধরে, দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে রুহুল তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্প করছেন। যাদের ঘরবাড়ি নেই, তাদের ঘরবাড়ি দেবেন। সেটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে যাচ্ছে। এটাকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ইট মেরে, হাতুড়ি মেরে, ছাগল দিয়ে এই ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। এটার পেছনে যে লক্ষ-কোটি টাকা দুনীতি হয়েছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করছেন না। তিনি হাতুড়ি, শাবল আর ছাগলকে দোষারোপ করছেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিলেন। অথচ যারা এই ধরনের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্থ লোপাট করল, ধ্বংস করল, ভাঙল, তাদের কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ধরলেন না। তিনি অন্যদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মানুষের মুক্তির কথা বললে সরকার গুম করে ফেলছে। কেউ যদি স্বাধীনতার কথা বলেন, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেন, মানুষের মুক্তির কথা বলেন, তিনি যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কথা বলেন, তবে তার একমাত্র পুরস্কার এই সরকারের পক্ষ থেকে, তিনি গুম হয়ে যাবেন। দিনের বেলায় অথবা রাতের বেলায়। তাকে তুলে নিয়ে যাবে। তার কোনো হদিস পাওয়া যাবে না।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসানকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে কোন আন্দোলন চলছিল, কিসের ভয়ে ছাত্রদলের রাজিবকে গ্রেপ্তার করেছিলেন? এই আওয়ামী লীগ সরকার, ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কিসের জন্য? ভয়ে–আতঙ্কে। রাজিবের মতো একজন ছাত্রনেতা যদি নির্বিঘ্নে চলাচল করে, তাহলে তো সরকারের জন্য বিপদ। এই কারণে রাজিবকে গ্রেপ্তার করেছে।
রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করলে শেখ হাসিনা খুশি হন। এই সরকার টিকে থাকতে হলে জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বলতে হবে। কারণ, স্বাধীনতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদের কোনো অর্জন নেই। যা অর্জন জিয়াউর রহমানের। সুতরাং জিয়াউর রহমানকে আক্রমণ করলে, তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করলেই তো শেখ হাসিনা খুশি হন। কিন্তু মিথ্যা কথা বলে যে ক্ষমতা টেকানো যায় না, এটা প্রধানমন্ত্রী কখনো উপলব্ধি করতে পারেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।