বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর খুলেছে খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ দুয়ার। এ খবরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাহাড়ি এ জনপদে আসতে শুরু করেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও খাগড়াছড়িতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম পাহাড়ের চেনা রূপ দেখতে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকছে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। আর লকডাউনের পর পর্যটনকেন্দ্রে অতিথি বেড়ে যাওয়ায় খুশি এ স্থানের ব্যবসায়ীরাও।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ৮০০ ফুট ওপরে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি। শরৎকালে সাজেকের মেঘ আর সবুজ পাহাড় পর্যটকদের কাছে অন্যতম একটি আর্কষণীয় স্থান। লকডাউনের কারণে টানা পাঁচ মাস বন্ধ থাকায় সাজেকের প্রকৃতি আরও বেশি সজীব হয়ে উঠেছে। এখানে সহসাই ধরা দেয় নীল আকাশে সাদা মেঘ। এ ছাড়া সবুজ পাহাড়ের আর্কষণ তো থাকেই। তাই পর্যটনকেন্দ্রগুলো খোলার পর সাজেকে আসছে অনেক ভ্রমণপিপাসু। সেখানে প্রকৃতির ছোঁয়া পেয়ে এবং দীর্ঘদিন পর ভ্রমণ করতে পেরে খুশি তারা।
গত ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর চলতি সপ্তাহে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের সমাগম আরও বেড়েছে।সম্প্রতি সাজেকে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রুইলুই, হ্যালিপেড, কংলাক পাড়াসহ সাজেকের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র। সাজেক পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অন্তত দুই হাজার পর্যটক সাজেক ভ্রমণে এসেছেন। সাজেকের রুইলুই ও কংলাক পাহাড়ের প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল রিসোর্টের সব কটি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাজেকের খোয়ালবুক রিসোর্টের পরিচালক নুরূল হক নুরু জানান, করোনার কারণে পাঁচ মাস বন্ধ ছিল। এ সময়ে অনেক লোকসান হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে রুম বুকিং দেওয়া হচ্ছে। আর পর্যটকদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে।এ ছাড়া সরকারি বিধিনিষেধ মেনে রিসোর্টের অর্ধেক রুম বুকিং করা হচ্ছে।
সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানান, দীর্ঘদিন ঘর বন্দি ছিলেন তারা। লকডাউন খুলে দেওয়ার পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে সাজেকে বেডাতে এসেছেন। এখানকার খোলা আকাশ পাহাড় প্রকৃতি দেখে সত্যিই মুগ্ধ তারা।সাজেকের পাশাপাশি খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রেও ভিড় দেখা যায়। জেলার আলুটিলা, রিছাং ঝরনা ও জেলা পরিষদ পার্কে অনেক পর্যটকদের সমাগম দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি পযর্টন মোটেলের ইউনিট ইনচার্জ একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচ মাস পুরো মোটেল ফাঁকা থাকার পরে এখন পযর্টকদের ভিড় বেড়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পযর্টকদের সমাগম বেশি থাকে। করোনা পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে পযটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে আসা ব্যক্ত করেন তিনি।
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে টুরিস্ট পুলিশ সতর্ক ভ‚মিকা পালন করবে। জানা যায়, করোনাভাইরাস যেহেতু পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হচ্ছে না, তাই নিজেকে নিজের সুরক্ষা করে এ ভাইরাসের সাথে টিকে থাকতে হবে। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি কঠোর নজরদারিতে থাকবে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের খাগড়াছড়ি ভ্রমণের অনুরোধ জানান খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।