বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল মহানগরীতে আরো একটি শতবর্ষী রেইন-ট্রি গাছ মারা যাচ্ছে। নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান বা বেল পার্কের উত্তর প্রান্তে বিশাল আকৃতির গাছটি দীর্ঘদিন এ উদ্যানে বেড়াতে আসা সবাইকে ছায়া দিয়ে রেখেছে। নজর কেড়েছে সব আগন্তুকের। ১৯৯৮ সালে গাছটির গোড়ায় চার পাশ বাধাই করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে সেটি সংস্কার করে আরো দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। কিন্তু কালের স্বাক্ষী শতবর্ষী এ গাছটি এখন মৃত্যু পথযাত্রী।
১৯০৩ সালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ থেকে জেলা সদর বরিশাল শহরে স্থানান্তরের পরে বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠে তৎকালীন বেল পার্ক সংলগ্ন রাজা বাহাদুর রোড। তখন বেল পার্ক ও রাজাবাহাদুর রোডের পাশে বেশ কিছু রেইন-ট্রি গাছ লাগানো হয়েছিল। ক্রমে তা দৃষ্টনন্দন হয়ে উঠলেও অযত্নে-অবহেলায় গত দুই দশকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে এবং বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনের দক্ষিণ পাশের বেশ কিছু রেইন-ট্রি গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে ।
বঙ্গবন্ধু উদ্যানের ভেতরে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সালে সিটি করপোরেশন থেকে বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষরোপন করা হলেও এর বাইরের গাছগুলোর প্রতি কারো নজর নেই। গণপূর্ত অধিদফতরের মালিকানাধীন বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ইতোপূর্বে ওয়াকওয়েসহ সব ধরনের স্থাপনা নির্র্মাণ করেছে গণপূর্ত অধিদফতর। কিন্তু উদ্যানটি ব্যবহারের অনুমোদনসহ সার্বিক দেখভাল করছে জেলা প্রশাসন। আবার বাতিসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটি করছে সিটি করপোরেশন।
এ ত্রিমুখী ব্যবস্থাপনায় উদ্যানটির সার্বিক উন্নয়নসহ এখানের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে কারো দায় নেই বলে মনে হচ্ছে। যেকোন সমস্যার কথা তুলে ধরলে তখন এক দফতর অন্য দফতরের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে।
সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু উদ্যানের শতবর্ষী এ রেইন-ট্রির বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন বলে জানিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। বরিশালের বন সংংরক্ষক তাদের সৃজিত বাগানের বাইরের কোন গাছ গাছালির ব্যাপারে কিছু করণীয় নেই বলে জানান। জেলা প্রশাসকের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে এ ব্যাপারে যা কিছু করা সম্ভব তা করবেন বলে জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।