Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ নয়

বিএসইসি চেয়ারম্যানের পরামর্শ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম তালিকাভুক্ত স্বল্পমূলধনী দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এটুকু বলতে চাই, আপনাদের বাজার ভালো। লাভ করার সুযোগও আছে। ভালোভাবে জেনেবুঝে বিনিয়োগ করবেন। ঝুঁকি সামলানোর সামর্থ্য যদি না থাকে তবে দুর্বল মৌলভিত্তির কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ না করে শক্ত মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগ করুন। অন্তত দিন শেষে ডিভিডেন্ড টুকু পাওয়া যাবে।

প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম গতকাল গণমাধ্যমে বলেন, বাজারে বিনিয়োগ করার মতো বহু মৌলভিত্তির শেয়ার রয়েছে, যেসব কোম্পানি ভালো পরফরমেন্স রয়েছে, ডিভিডেন্ড দেয়। সেসব শেয়ারে বিনিয়োগে গুরুত্ব দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের। কারণ মৌলভিত্তির শেয়ার বিনিয়োগ ঝুঁকি স্বল্পমূলধনী দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের চেয়ে অনেক অনেক কম।

সম্প্রতি বিএসইসি স্বল্পমূলধনী কোম্পানির মূলধনসহ নানা বিষয়ে সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক পুঞ্জীভূত বিষয় রয়ে গেছে। আমরা সমাধান করছি। সময়ের কারণে হয়তো এখনও সব করতে পারিনি। স্বল্পমূলধনী যেসব কোম্পানি আছে, এগুলোকে আমরা আস্তে আস্তে ঠিক করে ফেলব। আমরা একটা একটা করে ধরছি। কিন্তু সংখ্যা এত বেশি যে সময় কুলানো যাচ্ছে না। হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে প্রতিদিনই কিছু না কিছু ডেভেলপ হচ্ছে। সম্প্রতি বিএসইসি বোনাস ডিভিডেন্ডে কড়াকড়ি আরোপ করে যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটির বিষয়ে প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, দেখা যাচ্ছে, মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা কখনও ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয় না। শুধু বোনাস শেয়ার দিতে থাকে। তাতে হয় কি, পেইড-আপ ক্যাপিটাল অনেক বেড়ে যায়। কেবল পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোই তাদের উদ্দেশ্য না। কোম্পানিগুলো যেন ক্যাশ ডিভিডেন্ডে জোর দেয়, সেটাই চান তারা।

তিনি বলেন, আমরা সবার কথা কিন্তু বলিনি। আমরা বলেছি যারা জেড ক্যাটাগরির, যারা কখনও মানুষকে ডিভিডেন্ড দেয় না। শুধু বোনাস শেয়ার দিয়ে যায়, তাদের ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। তাদেরকে মানুষকে বিনিয়োগের রিটার্ন দেয়া শিখতে হবে। বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যাবে না- এমনটাও নয় বলেও জানান তিনি। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, যদি মৌলভিত্তির ভালো কোম্পানি হয়, তারা যদি গ্রোথের দিকে যায়, ইনভেস্টমেন্টের দিকে যায়, তাহলে তো আমরা দেখবই। কিন্তু আমরা তাদের অ্যাকটিভিটিস দেখলেই বুঝতে পারব তাদের উদ্দেশ্যটা কী। তিনি বলেন, লো পেইড-আপ, সেগুলো আমাদের মেইন বোর্ডে থাকার জন্য যে পরিমাণ পেইড-আপ লাগে আমরা গত মঙ্গলবারও একটি কোম্পানিকে বলে দিয়েছি অনেক পুরোনো কোম্পানি, আপনারা পেইড-আপ ক্যাপিটাল বাড়ান। তারা কাজ শুরু করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের সঙ্গে আরো একটি কোম্পানির সঙ্গে মিটিং আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা অ্যাটেনশন দিচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ