পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে ভালো অবস্থা বিরাজ করছে পুঁজিবাজার। এমনকি প্রতিনিয়ত উত্থানে রেকর্ড গড়ে চলেছে সূচক, বাজার মূলধন ও লেনেদেন। উত্থানের এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ও সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১৭৩ পয়েন্ট। ফলে টানা ছয়দিন পুঁজিবাজারে উত্থান হলো।
আর তাতে গত ছয় কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়েছে ২৫ হাজার ২২৫ কোটি ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এদিন ডিএসইতে আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬টির, কমেছে তিনটির আর অপরিবর্তিত রয়েছে চার টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে চারটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে। এছাড়াও গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বার্জার পেইন্টস এবং ইউনিলিভারসহ অথিকাংশ বহুজাতিক কোম্পানির দাম বেড়েছে। আর তাতে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, মঙ্গলবার বাজারে মোট ৩৬৪টি প্রতিষ্ঠানের ৭০ কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৯টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৮৬৬ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৯০১ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে সাত হাজার ১৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৫৫১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো লিমিটেড। তৃতীয় স্থানে ছিল সামিট পাওয়ার শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল সাইফ পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম, ওরিয়ন ফার্মার, বাংলাদেশ সামরেনি ক্যাবলস কোম্পানি, স্কয়ার ফার্মা, বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড এবং ডরিন পাওয়ার লিমিটেড।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ২০ হাজার ৮৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৪টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ১৬ লাখ ৪২ হাজার ১৯৭৫ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৭ কোটি ৫৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৫ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।