Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্রাজিলে ম্যাড কাউ শনাক্ত চীনে গোশত রফতানি বন্ধ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

ব্রাজিলে দুটি জায়গায় গরুর শরীরে বিরল ‘ম্যাড কাউ’ রোগ শনাক্তের পর চীনে গোশত রফতানি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক স্বাস্থ্যনীতির ভিত্তিতে রফতানি বন্ধের এই সিদ্ধান্ত গত শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের কৃষি মন্ত্রণালয়। খবর সিজিটিএনের। এক বিবৃতিতে ব্রাজিলিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রফতানি ফের কবে শুরু হবে, তা ঠিক করবে বেইজিং। ব্রাজিলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, স¤প্রতি দেশটির মিনাস গেরাইস রাজ্যের বেলো হরিজন্তে এবং মাতো গ্রোসো রাজ্যের নোভা কানা ডো নর্তে শহরে দুটি প্রাপ্তবয়স্ক গরুর শরীরে বোভাইন স্পঞ্জিফর্ম এনসেফালোপ্যাথি (বিএসই) বা ‘ম্যাড কাউ’ রোগ শনাক্ত হয়। এটি গবাদি পশুর একধরনের মারাত্মক রোগ, যা ধীরে ধীরে প্রাণীর মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ড শেষ করে দেয়। রোগটি শনাক্তের তথ্য এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে ২০১৯ সালেও ম্যাড কাউ রোগ শনাক্ত হয়েছিল। সেসময়ও চীনে মাংস রফতানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। আল-জাজিরার খবর অনুসারে, বিশ্বের বৃহত্তম মাংস রফতানিকারক দেশ ব্রাজিল। আর তাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ব্রাজিলের অধিকাংশ মাংসই রফতানি হয় চীন ও হংকংয়ে। প্রাণঘাতী বিএসই বা ম্যাড কাউ রোগ মূলত গবাদি পশুকে অসুস্থ প্রাণীর হাঁড়-মাংসের গুড়া খাওয়ানোর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। সেই অসুস্থ পশুর মাংস খেলে মানুষও বিএসই’র একটি ধরনে আক্রান্ত হতে পারে। ক্রিয়েটজফেল্ট-জ্যাকব নামে এ রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ মারা যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ১৯৮০ সালের দিকে যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত হয় ম্যাড কাউ রোগ। পরে এটি ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে হুমকিতে পড়ে বৈশ্বিক মাংস ব্যবসা। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সেসময় প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন মানুষ। সিজিটিএন, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ