বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে সাভার মডেল থানায় চিত্রনায়িকা পরিমনির করা মামলায় তিন জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।
সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
মামলার আসামি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে বলে সোমবার রাতে সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এদের মধ্যে পরিমনির মামলায় নাসির ও তুহিন জামিনে রয়েছেন। তবে অন্য একটি মামলায় তুহিন কারাগারে রয়েছে।
৮জুন রাতে বিরুলিয়ার বেড়িবাধস্থ বোট ক্লাবে এই ঘটনার পর ১৩জুন রাতে পরিমনি তার ভেরিভাইড ফেইসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
পুলিশে জানিয়ে ফল পাননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে লেখেন এই অভিনেত্রী। তার ওই পোস্ট দ্রুত সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠে।
পোস্টটি দেয়ার ঘণ্টাখানেক পর গুলশানে নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ জানানোর পর ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে সাভার মডেল থানায় মামলা করেনে চিত্রনায়িকা পরিমনি।
মামলা দায়েরের পরই রাজধানীর উত্তরার এক নম্বর সেক্টরের ১২নম্বর রোডের বাসা থেকে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এসময় বেশকিছু বিদেশি মদ, বিয়ার, ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমিও পরিমনিকে কৌশলে বোটক্লাবে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শহিদুল আলম পরিমনিকে গালাগাল করে অশালীন আচরণ করে শরীর স্পর্শ করেন। এতে পরিমনি ক্ষিপ্ত হলে তাকে শ্লীলতাহানীরও চেষ্টা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।