বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক মেধাবী ছাত্রী সনাতনী ধর্ম তথা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। বিগত দুই বছর পূর্বে আইনসিদ্ধ ভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের অগোচরে গোপনে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে আসছিল। সম্প্রতি পরিবারের মধ্যে তার চালচলনের প্রতি সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা নিশ্চিত হয় দ্বীপান্বিতা পাল (২০) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সেও নিশ্চিত হয় তার পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জেনে ফেলেছে। এরপর থেকে তার প্রতি পরিবারের সদস্যদের আচরণ ভিন্নরুপ ধারণ করে। সে সুযোগ খুঁজতে থাকে প্রাণে রক্ষা পাওয়ার। শেষ পর্যন্ত সে কৌশলে গত রবিবার ঘর ত্যাগ করেও নিরাপত্তাহীনতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জায়গা পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
উক্ত মেধাবী ছাত্রী হচ্ছে চট্টগ্রামের খরণদ্বীপ এলাকার বোয়ালখালী থানা, বর্তমান সাং-সাবেরিয়া, আন্দরকিল্লা চট্টগ্রামের উজ্জল কুমার পাল ও মাতা শীলা পালের কন্যা। সে (রুয়েট) এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত/নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। যার রেজিঃনং-৩৮৪। ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী মেধাবী ছাত্রী দ্বীপান্বিতা পাল (২০) পূর্বের নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে খদিজাতুত তহিরা নাম রেখেছে। প্রাণ নাশের ভয়ে ঘর ছাড়া এ নওমুসলিম মেধাবী ছাত্রীর সাথে কথা হলে জানান,সে স্কুল,কলেজে পড়ার সময় মুসলমান বন্ধু-বান্ধবীদের সাহচর্যে থেকে ইসলামের রীতিনীতি দেখে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েন। সিদ্ধান্ত নেন গোপনে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানার।
জানতে জানতে একসময় সনাতনধর্ম তথা হিন্দু ধর্মের প্রতি তার আস্থা বিশ্বাস শূন্যের কোটায় পৌঁছে। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন চির শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশিয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে চট্টগ্রাম নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পূর্বের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে খদিজাতুত তহিরা নাম গ্রহণ করেন।বিগত দুই বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও এতদিন সে নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে ইসলামের বিধিবিধান পালন করে আসছিলেন।কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঘরে অবস্থান করছিল।ঘরের মধ্যে গোপেন ধর্মকর্ম পালন করে চললেও দেরিতে৷ হলেও পরিবারে সদস্যদের চোখে ধরা পড়ে যায়।সেই থেকে তার উপর শুরু হয় বিরুপ আচরণ। সব সহ্য করেও সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন ঘর ছাড়ার। অবশেষে সেই সুযোগ পেয়ে যাই গত রবিবার। নিজেকে প্রাণে রক্ষা করতে কৌশলে ঘর থেকে পালিয়ে যাই। পালিয়েও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় স্থান পরিবর্তন করে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানান। তিনি তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আইনি সহায়তা কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।