বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম সম্পর্কে চট্টগ্রামে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর সোমবার এক বিবৃতিতে তার শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা আজ কেন শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বলছে? কারণ তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশে টিকা নিয়ে চলছে ধোঁকাবাজি। চার ভাগ মানুষকেও এখনো টিকার আওতায় আনতে পারেনি। সরকার লকডাউন দিয়ে তা কার্যকর করতে পারে না। কারণ, মানুষের ঘরে খাবার নেই, দেয়নি প্রণোদনা। হাজার কোটি টাকা বিলি করলেও তা পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এসব লুটপাটের ঘটনা থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাতেই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে মন্ত্রী হওয়া এসব ব্যক্তিরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্য সম্পর্কে কথা বলার কোন যোগ্যতাই রাখেন না। প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে থাকার জন্যই এই মন্ত্রীরা শহীদ জিয়াকে নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন। তাদের মতো লোকদের একমাত্র কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার, বিষোদগার, চরিত্র হনন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন মন্ত্রীর কথা-বার্তায় শালীনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। কারণ রাতের আঁধারে তারা ভোট চুরি করে হোক আর লুট করে হোক মন্ত্রী হয়ে গেছে। তাদের কাছে নতুন প্রজন্মের নাগরিকরা শালীন ও শিষ্টাচার আচরণ দেখতে চায়। বর্তমান সময়ে সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে এই সত্যটাই উঠে এসেছে বাংলাদেশে একমাত্র বিএনপিই জনগণের রাজনৈতিক সংগঠন। একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান হচ্ছেন দেশের স্বাধীনতা প্রিয় ও গনতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র নেতা। তাই জনগণের অর্থ লুণ্ঠন কারিরা প্রতিদিন বিএনপিকে দুঃস্বপ্ন দেখে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম শুনলে বাঘের মতো ভয় পায়। তাই তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের ভয় তাড়াতে শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নামে জিকির তোলে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ এই প্রতিমন্ত্রীকে অবিলম্বে তার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি পাঠ করে ইতিহাস জানার অনুরোধ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।