ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ শুরু হওয়ার পরপরই ঘটে বিপত্তি। আর্জেন্টিনা দলের চার খেলোয়াড় এমিলিয়ানো মার্তিনেস, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, জিওভানি লো সেলসো ও ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ব্রাজিলের কোভিড আইন ভঙ্গ করেছেন ও ভুল তথ্য দিয়েছেন এমন অভিযোগে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে প্রবেশ করে ব্রাজিলের হেলথ রেগুলেটরি এজেন্সির (আনভিসা) প্রতিনিধিরা।
আনভিসা বলছে, এই চার খেলোয়াড় শুধু ভেনিজুয়েলা থেকে ব্রাজিলের ঢুকে অপরাধ করেছেন তা নয়, তারা পাসপোর্টের সঙ্গে ভুল তথ্যও জমা দিয়েছেন।
ওই চার খেলোয়াড় যে ইংল্যান্ড থেকে কারাকাসে গেছেন সেটি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি। যে কারণে আনভিসা ওই চার খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে সরিয়ে নিতে লোক পাঠিয়েছে।
ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষের আচরণে বেশ ক্ষুব্ধ লিওনেল মেসি। তিনি তার বিরক্তি মাঠেই আনভিসা প্রতিনিধিদের কাছে প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় রেডিও স্টেশন কন্তিনেন্তাল ফাইভনাইন্টি।
তারা জানায় মেসি মাঠে আনভিসাকে বলেছেন, ‘আমরা তিনদিন ধরে ব্রাজিলে আছি। ম্যাচ শুরুর পর কেনো আমাদেরকে খুঁজে পেতে হলো তাদের?’
একই প্রশ্ন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার। আর্জেন্টিনার আনুষ্ঠানিক টুইটার হ্যান্ডলে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন তাপিয়া, ‘তারা আগে একবারও এই সমস্যার কথা বলেনি। বলেনি যে আমরা খেলতে পারব না। আমরা ও ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা খেলতে চেয়েছিলাম। আজ যেটা হলো সেটা ফুটবলের জন্য লজ্জাজনক। চারজন লোক মাঠে ঢুকে আমাদের জানাল খেলা যাবে না। আর কনমেবোল আমাদের বলল ড্রেসিং রুমে ফিরে যেতে।’
একই সঙ্গে তিনি জানান, স্বাস্থ্য নিয়ম ভাঙ্গার প্রশ্নই আসে না। সব খেলোয়াড় কড়া স্বাস্থ্য নিরাপত্তার মধ্যে থেকেই খেলেন।
তাপিয়া যোগ করেন, ‘এখানে মিথ্যার কোনো প্রশ্নই আসেনা। কারণ দক্ষিণ আমেরিকার টুর্নামেন্টগুলো কড়া স্বাস্থ্য নিরাপত্তা মেনে চলে। আমরা সব স্বাস্থ্য প্রটোকল মেনেই খেলতে এসেছি।’
মেসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা শেষে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ও জার্সি বদল করে আবারও মাঠে আসেন। তিনি ও আর্জেন্টিনার হেড কোচ লিওনেল স্কালোনি বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করেন আনভিসার লোকদের সঙ্গে বোঝাপড়া করার। তবে লাভ হয়নি।
বাংলাদেশ সময় রাত ২টার দিকে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশন (কনমেবোল) জানাইয় ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে।