Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূঞাপুরে পানিবন্দি ২০ হাজার পরিবার

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৩৪ পিএম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারি বর্ষণে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি দিন দন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পানিবন্ধি পরিবারদের বেড়েছে ভোগান্তি। বন্যার পানি নিন্মাঞ্চলে প্রবেশ করায় তলিয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট, সদ্য লাগানো ধানের চারাও বীজতলা। এছাড়া বন্যার পানিতে টিউওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।

পানিবন্ধি পরিবারগুলোর অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে পানিবন্দি হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পায়নি তারা। এদিকে, গেল শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পানি স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া ধলেশ্বরী, ঝিনাই নদীসহ জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে যমুনা নদীর পানি উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারে প্রবেশ করায় বাজারের একাংশ রাস্তা তলিয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর বন্যায় বাজারসহ আশপাশের গ্রামে পানি উঠে তলিয়ে যায়। তবে যমুনা নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হলে এই অঞ্চলের মানুষকে পানিতে ভাসতে হতো না। এছাড়া অকাল বন্যা ঠেকাতে যমুনা নদীর পাড় বস্তা ফেলে উচু করা হলে পানিবন্দি হতো তারা।
গোবিন্দাসী বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, দেশখ্যাত গোবিন্দাসী হাট বাজারের পাশ দিয়েই বিশাল খাল রয়েছে। কিন্তু খালটি দখল আর ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হয়েছে। উক্ত খাল দিয়ে বন্যার পানি আসলেই খাল ভরে পানি বাজারে প্রবেশ করেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এর বিপরীতে ত্রাণসহায়তা পাওয়া গেছে ৫ টন চাল পাওয়া গেছে। এতে ৫০০ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারে ১০ কেজি করে চাল ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে।

পানিবন্দি এসব পরিবারের বাসিন্দার অভিযোগ, অনেক দিন ধরে পানিবন্দি। বাড়ি-ঘরে শুধু নয় আশপাশের রাস্তাগুলোও পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে যোগাযোগ মাধ্যমে নৌকা। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও জনপ্রতিনিধিসহ কেউ এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ নেয়নি। গোবিন্দাসী ইউনিয়নের শামছুল মন্ডল জানান, বন্যার পানির তীব্র স্রোতে রাস্তা ভেঙে গেছে। ঘর বাড়িতেও পানি উঠেছে। এতে চরম কষ্টে পানিতে বসবাস করতে হচ্ছে। এছাড়া টিউবওয়ের তলিয়ে যাওয়ার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে এবং পানিবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান জানান, উপজেলায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ