পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে উজবেকিস্তানে শুরু হলো ইসলামী ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন। এছাড়া বেসরকারি খাতের সঙ্গে সরকারের সমন্বয় সাধনের কৌশলগত দিকগুলোও গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশ্বের ৫৭টি দেশের সরকার, উন্নয়ন সহযোগীসহ সুশীল সমাজ মিলিয়ে প্রায় ২ হাজারের বেশি ব্যক্তি এতে অংশ নেন।
এতে গুরুত্ব পাচ্ছে করোনাপরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিষয়টি। একই সঙ্গে আলোচনা হবে আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়েও।
উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে আয়োজিত সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, উন্নয়ন সহযোগী এ সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে এক দশকে বিশ্ব দরবারে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি জানান, গত এক দশকে বিশ্ব দরবারে কৃষি, ডিজিটাল অর্থনীতি ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার রোল মডেলে বাংলাদেশ। আর এ গতি রাখতে চাইলেন আইএসডিবির সহযোগিতাও। অনুষ্ঠানে, সরকারি দপ্তর বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের সাথে নিবিড়ভাবে বেসরকারি খাতকে সংযোগ করিয়ে দেয়ার জন্য সম্মাননা জানানো হয় সালমান এফ রহমানকে। বলা হয়, পণ্যসহ বাণিজ্য বিকেন্দ্রীকরণে অনেক দূর এগিয়েছে বেসরকারি খাত।
সম্মেলনে আইডিবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সুলাইমান আল জাসের জানান, করোনায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়া মুসলিম বিশ্বের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার, নতুন করে সাজানো এবং টেকসই করাই এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। যেখানে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে সবার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার জন্য অর্থায়নেরও আশ্বাস মিলেছে।
সম্মেলনের আগ মুহুর্তে কমনওয়েলথভুক্ত ১১ দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন—আইটিএফসি। তাতে বলা হয়েছে, ইসলামি দেশগুলোর ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়াতে অবকাঠামোসহ যাবতীয় উন্নয়নে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে।
উজবেকস্তানের উপ—প্রধানমন্ত্রী সারদর উমারযাকাভ বলেন, সিআইএসভুক্ত দেশ হওয়ায় আমরা বিনিয়োগ আর্কষণের চেষ্টা করছি। এ কারণে বহির্বিশ্ব কিংবা অভ্যন্তরীণ, সবখানেই সংস্কার কার্যক্রম চলছে। বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা সংক্রান্ত সব সুযোগ—সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। দেশ পরিচালনায় স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক মনোভাব আমাদের এগিয়ে নিচ্ছে , যার ফল ১৪ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি। বিনিয়োগ বাড়াতে ইসলামী দেশগুলোকে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।