পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনজীবী এবং ডাক্তারদের আয় কর ফাঁকির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আয়কর বিবরণী সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা এবং ফাঁকি থাকলে তা বের করে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। সম্প্রতি এ চিঠির বিষয়টি স্বীকার করেছেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ কিংবা তদন্ত কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দুদক অনেক সময়ই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চিঠি দিয়ে থাকে। এনবিআর-দুদকের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তিনি বলেন, রাজধানীতে যেসব আইনজীবী ও ডাক্তারের চেম্বার রয়েছে তাদের দাখিলকৃত আয়কর বিবরণীর সঙ্গে প্রকৃত আয় মিলিয়ে দেখতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের চেম্বারে গিয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দুদকের চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়, কর ফাঁকি রোধে বিশেষায়িত চিকিৎসক ও আইনজীবীরা তাদের রোগী বা ক্লায়েন্টদের সেবা দেয়ার বিনিময়ে পাওয়া অর্থের বিপরীতে চালান বা রশিদ বাধ্যতামূলক করেছেন কি না। এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন ও বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এনবিআর ডাক্তার ও আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের প্রকৃত আয় জানতে একটি ডাটাবেজ প্রস্তুত করছে। যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে, একজন ডাক্তারের আয় প্রতিদিন তার চেম্বারে আসা রোগীর সংখ্যা, ফির পরিমাণ, চেম্বারের সংখ্যা ও কর প্রদানের পরিমাণ। এদিকে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, কর কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন চিকিৎসকরা কর ফাঁকি দেয়ার জন্য আয় কর রিটার্নে তাদের প্রকৃত আয় গোপন করছেন। ট্যাক্স এজেন্টরা কর ফাঁকির প্রমাণ পাচ্ছেন। বর্তমানে এমন চিকিৎসক ও আইনজীবীদের চিহ্নিত করতে কাজ করা হচ্ছে যাদের করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর নেই কিন্তু ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা বা তার বেশি ফি নেন। এছাড়া যেসব ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা ঢাকায় অনুশীলন করছেন তাদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।