মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এটা যে গাড়ি, দেখে বোঝার উপায় নেই। জানলা, স্টিয়ারিং, চাকা একটি গাড়িকে চিনতে যা যা লাগে, তার কোনোটিই চোখে পড়ে না। কিন্তু গাড়ির মতোই গড়িয়ে চলতে পারে রাস্তা দিয়ে! গাড়ির মতোই স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে দিক বদলাতে পারে। আবার সামনে-পিছনেও যেতে পারে। প্রয়োজনে গতিও বাড়াতে-কমাতে পারে।
উজ্জ্বল কালো রঙের, আকারে সাধারণ গাড়ির চেয়ে অনেক ছোট এই বস্তুটি দেখতে একেবারেই গাড়ির মতো নয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি একটি গাড়িই। ডাচ জুতা প্রস্তুতকারক সংস্থা ইউনাইটেড ন্যুড এই মডেলটি বানিয়েছিল। কালো রঙের গাড়িটি বাজারে বিক্রির জন্য তারা আনেনি। মূলত একটি প্রদর্শনীর জন্য তারা এই মডেল বানিয়েছিল ২০১৬ সালে।
গাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছিল লো রেজ অর্থাৎ লো রেজলিউশন। রেম ডি কুলহ্যাস নামক এক ডিজাইনার গাড়িটির নকশা বানিয়েছিলেন। গাড়ির পুরোটাই স্টিলের কাঠামো। উপরের অংশটিতে স্টিলের কাঠামোর উপর স্বচ্ছ পলিকার্বনেট দেওয়া। উপরের অংশে স্বচ্ছ পলিকার্বনেট দিয়ে তৈরি হলেও কিন্তু গাড়ির বাইরে থেকে ভিতর দেখা যায় না। কিন্তু ভিতর থেকে বাইরে সব স্পষ্ট দেখা যায়।
গাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখলে মনে একটা প্রশ্ন আসতে পারে। ভিতরে ঢুকবেন কী ভাবে? কারণ, গাড়িটিতে কোনও জানালা-দরজা নেই। গাড়ির উপরের অংশটি আসলে ওঠানো-নামানো যায়। চালক এবং আরোহী ভেতরের আসনে বসার পর উপরের অংশটি আবার নীচে নামিয়ে আনতে হয়। মাত্র দু’জনই এই গাড়িতে বসতে পারেন। জায়গা কম থাকার জন্য আসনসজ্জা পাশাপাশি না করে সামনে-পিছনে করা হয়েছে। সামনের আসনে স্টিলের স্টিয়ারিং ধরে বসবেন চালক। তার ঠিক পিছনের আসনে বসবেন আরোহী।
এই গাড়ি চলে বিদ্যুতে। গতিও অন্যান্য গাড়ির থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার। চাকাগুলো খুবই ছোট। বাইরে থেকে প্রায় দেখাই যায় না। যে কারণে একমাত্র মসৃণ রাস্তায় এই গাড়ি চালানো যাবে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার, রেডিট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।