Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাপ আতঙ্কে বিদ্যালয়ে কমছে শিক্ষার্থী উপস্থিতি

প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

গোপালগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাপ আতংকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। মাঝে মাঝে স্কুলে শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরীতে বিষধর সাপ বিচরণ করে। এ পর্যন্ত ওই স্কুল থেকে ২০/২৫টি বিষধর সাপ মারা হয়েছে। এ কারণে অভিভাবকরা ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের দপ্তরী হিমন্ত মৌলিক জানান, গত সোমবার দুপুরে প্রধান শিক্ষিকার টেবিলের নিচে একটি গোখরা সাপকে বিচরণ করতে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সাপটি মেরে ফেলা হয়। তিনি আরো জানান, গত দু’দিনে ৬টি গোখরা সাপ মেরেছি। এ পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫টি বিষধর গোখরা সাপ মারা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে প্রায় গোখরা সাপের দেখা মিলছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে ভয় পাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীকে বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়ে ক্লাস করতে আনতে হচ্ছে। জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ে ৪ বছর আগে থেকে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। এতে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের তিন পাশে পুকুর এবং মেঝের (ফ্লোর) নিচ দিয়ে মাটি সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। ফলে ফ্লোরের কোথায়ও ছিদ্র থাকলে সেখান দিয়ে ফ্লোরের নিচ থেকে সাপ উঠে এসে শ্রেণি কক্ষে বিচরণ করে। বিদ্যালয়ের শ্রেণি ও লাইব্রেরীতে প্রায় গোখরা সাপ দেখতে পাচ্ছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী চয়ন ও প্রশান্ত ম-ল বলেন, আমাদের স্কুলে অনেক সাপ। তাই স্কুলে আসতে ভয় লাগে। অভিভাবক মনীষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, সাপের আতংকে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছি না। মাঝে মধ্যেই স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীরা সাপ মারছেন। হাতিয়াড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার রিকো বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই এটি সাপের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। বিদ্যালয়টি সংস্কার করা হয়ে সাপের উপদ্রব কেটে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেনে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খুকু রানী বাছাড় সাপের উপদ্রব্যের কথা স্বীকার করে বলেন, কার্বলিক এসিড ছিটিয়েও সাপের উপদ্রব ঠেকাতে পারছি না। বিষয়টি আমরা কাশিয়ানী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকেও জানিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাপ আতঙ্কে বিদ্যালয়ে কমছে শিক্ষার্থী উপস্থিতি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ