নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গতকাল ছিল আফগানিস্তানের জন্য ঐতিহাসিক এক দিন। দীর্ঘ দুই দশকের আমেরিকান আগ্রাসন থেকে পুরোপুরি মুক্ত দেশটি। ক্ষমতা আবার তালেবানের হাতে। এ নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানের মতো আফগান ক্রিকেটাররা। কিন্তু রশিদ খান যাঁকে আদর্শ মেনে বড় হয়েছেন, তার কাছে এ ঘটনা গুরুত্ব পাচ্ছে না।
পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির চোখে তালেবান ক্ষমতায় আসায় ক্ষতি নেই। আরেক সাবেক ক্রিকেটার, বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তো বেশ কয়েকবারই তালেবানের পক্ষে নিজের অবস্থানও জানিয়েছেন। এবার বুমবুম তারকাও জানালেন নিজের অবস্থানের কথা। তার চোখে তালেবান ইতিবাচক মানসিকতা দেখাচ্ছে। আফ্রিদির ধারণা, তালেবান ‘ক্রিকেট ভালোবাসে’ এবং ‘মেয়েদের কাজ করতে দেবে’।
পাকিস্তানের সাংবাদিক নায়লা ইনায়েতের এক ভিডিও ক্লিপে আফ্রিদিকে বলতে শোনা গেছে, ‘তালেবান ক্ষমতায় এসেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এসেছে। তারা নারীদের কাজ করতে দিচ্ছে। তারা নারীদের রাজনীতিতে ঢোকার সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা ক্রিকেটকে সমর্থন দিচ্ছে... এবং আমি বিশ্বাস করি তালবান ক্রিকেট খুব পছন্দ করে।’
আফ্রিদির মতো অতীতে এমন সমর্থন ইমরান খানের মুখে শোনা গিয়েছিল। গত জুলাইয়ে, আফগানিস্তান তখনো তালেবান দখলে যায়নি, সে অবস্থাতেও ইমরান বলেছিলেন, ‘তালেবান কোনো সৈন্য দল নয়, বরং সাধারণ নাগরিক’। তার সীমানায় ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী আছেন, যাদের অধিকাংশ পশতু। তালেবান এই জাতিগোষ্ঠীর। এ কারণে তালেবানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হননি তিনি।
পিবিএস নিউজ আওয়ারের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এখানে ৫ লাখ লোক ক্যাম্পে আছে। ওখানে ১ লাখ লোক ক্যাম্পে। তালেবান কোনো সৈন্যবাহিনী নয়, তারা সাধারণ নাগরিক। এই ক্যাম্পে যদি কিছু নাগরিক থাকে, পাকিস্তান কীভাবে তাদের খুঁজবে? আপনি কীভাবে তখন একে আশ্রয়স্থল বলবেন?’
আগস্টে প্রকাশ্যেই তালেবানের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পক্ষে কথা বলেছেন। ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নেওয়া ইমরান বলেছেন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষা বন্ধ করে ‘অন্য দেশের সংস্কৃতি থেকে আফগানিস্তানকে মুক্তি’ দিয়েছে তালেবান! সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।