প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
খান আতাউর রহমানের ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’ সিনেমায় নবাবের ঘাতক মোহাম্মদী বেগ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেতা আবদুল মতিন। আজ ১ সেপ্টেম্বর বেতার, টিভি ও চলচ্চিত্রের বরেণ্য এই অভিনেতার ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নারিন্দাস্থ বাসায় দিনব্যাপি কোরআন খতম ও বাদ মাগরিব মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মিলাদ মাহফিলে শিল্পীর আতœীয় স্বজন, ভক্ত, শুভাকাক্সক্ষীদের অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। অভিনেতা আবদুল মতিন ১৯২১ সালের ১৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৫ সাল থেকে নাট্যাভিনয়ে সাধনা ও উন্নয়নে ঢাকার প্রথম মুসলিম অভিনয় শিল্পী। বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের জন্মলগ্ন থেকে অভিনয় করেছেন তিনি। বেতারের জন্মলগ্ন থেকেই যুক্ত এবং এর উন্নতি বিধানে ঘোষক, নাট্য প্রযোজক, নাট্য লেখক ও সংগীত রচয়িতা হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৫২ সালে বেতারে চাকরি করার সময় ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের সম্মানে প্রথম প্রতিবাদকারী ও বেতারে হরতালের আহবায়ক ছিলেন তিনি। বেতারের ২৪ ফেব্রæয়ারি যোগদানের দিনই সরকারী নথি লগবুক-এ সর্বপ্রথম বাংলা লিখেছিলেন আবদুল মতিন। ১৯৬২ সালে সিলেট বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রধান ছিলেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও স্বাধীনতা আন্দোলনে বিক্ষুদ্ধ শিল্পী সমাজের যুগ্ম মহাসচিব ছিলন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলে মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নেতৃত্বে অচল ঢাকা বেতারকে সচল করার প্রথম ব্যবস্থাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। টেলিভিশন নাট্যশিল্পী ও নাট্যকারদের স্বার্থরক্ষণ উন্নয়নে টেলিভিশন নাট্যশিল্পী ও নাট্যকার সংসদ (টেনাশিনাস)-এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ স¤পাদক। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক ও সমিতির গঠনতন্ত্রের রচয়িতা। অভিনেতা আবদুল মতিন মঞ্চ, বেতার ও টিভি নাটকের পাশাপাশি প্রায় দুশোর অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উলে¬খযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ফকির মজনু শাহ, লালন ফকির, জাগোহুয়া সাবেরা, আসামী, লাল সবুজের পালা, নাত বউ, সাহেব, জিঘাংসা, কুয়াশা, ছদ্মবেশী, মিশর কুমারী, দ্বীপ নিভে নাই, সেতু, অনেক দিন আগে, লাঠিয়াল, চোর, পাগলা রাজা ও বড় ভালোলোক ছিল ইত্যাদি। অভিনেতা আবদুল মতিন ১৯৮৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন। আজকের দিনে মরহুমের কনিষ্ঠ পুত্র সিনিয়র সাংবাদিক অনজন রহমান তার পিতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।