প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
১৯৯২ সালে ‘আনফরগিভেন’ মুক্তির পর ক্লিন্ট ইস্টউড বলেছিলেন তিনি আর ওয়েস্টার্ন ধারার ফিল্ম নির্মাণে বা অভিনয়ে জড়াবেন না। কিন্তু যার নামে কয়েক প্রজন্মের ওয়েস্টার্ন ধারার ফিল্মের পরিচয় তিনি কি একে পাশ কাটাতে পারেন? তারই প্রমাণ ‘ক্রাই মাচো’। তবে একে ঠিক প্রচলিত ধারার ওয়েস্টার্ন বলা যাবে না, তবে একে এই ধারার বাইরেও রাখা যাবে না। ইস্টউডের এই ধারায় যাত্রা শুরু হয় ‘রহাইড’ টিভি সিরিজ দিয়ে। তারপর তাকে দেখা যায় সার্জিও লিয়নের স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন ‘ফিস্টফুল অফ ডলার্স’-এ ‘নামহীন বন্দুকবাজের’ ভূমিকায়, এর একাধিক সিকুয়েল তাকে কিংবদন্তীর পর্যায়ে নিয়ে যায়। একসময় তিনি ‘হ্যাঙ’এম হাই’ এবং ‘দ্য আউটল জোসি ওয়েলস’ ফিল্মগুলো তিনি স্বঅভিনয়ে পরিচালনা করেন। ১৯৮০’র দশক নাগাদ ওয়েস্টার্ন ধারার আবেদন ফুরিয়ে যেতে থাকলেও তিনি এই ধারায় ১৯৮৫’র ‘পেইল রাইডার’ পরিচালনা করেন নিজের অভিনয়ে। এরপর ১৯৯২ সালের ভিন্নধারার ওয়েস্টার্ন ‘আনফরগিভেন’ নির্মাণ করেন তিনি। এতে তিনি এক বৃদ্ধ পিস্তলবাজের ভূমিকায় অভিনয় করেন, যে শেষ একটি মিশনে বেরোয়। ব্যাপক প্রশংসা এবং বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে ফিল্মটি। পরিচালনা সেরা চলচ্চিত্রসহ চারটি অস্কার জয় করে ফিল্মটি। ইস্টউড এরপর আর ওয়েস্টার্ন পরিচালনা করেননি বা এই ধারায় অভিনয় করেননি, এই বছরের ‘ক্রাই মাচো’র আগে। আধুনিক সময়ে পটভূমিতে ইস্টউড এতে এক বৃদ্ধ রোডিও তারকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যার মিশন এক কিশোরকে অপহরণ করে তার বাবার কাছে পৌঁছে দেয়া। জানা গেছে ‘আনফরগিভেন’-এর অনেক আগেই ‘ক্রাই মাচো’ নির্মাণ করার কথা ছিল কিন্তু তিনি ‘ডার্টি হ্যারি’র সিকুয়েল ‘দ্য ডেড পুল’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় আর নির্মাণ এগোয়নি। ওপর থেকে ‘ক্রাই মাচো’কে প্রথাগত ওয়েস্টার্ন মনে না হলেও এর সব স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে এতে, তা দেখার পর বোঝা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।