মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এশিয়ার নোবেল খ্যাত র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) ড. ফিরদৌসী কাদরী। আজ মঙ্গলবার র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টি ২০২১ সালের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে।
র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানী ফিরদৌসী কাদরী ছাড়াও এ বছর পাকিস্তানে দারিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রাখায় দেশটির অন্যতম বৃহৎ এক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান মোহাম্মদ আমজাদ সাকিব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাস্ত্যুচুত শরণার্থীদের জীবন পুনর্গঠনে কাজ করা স্টিভেন মুনচি-ও এই পুরস্কার পেয়েছেন। র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার এশিয়ার সর্বোচ্চ সম্মাননা এবং এই অঞ্চলে নোবেল পুরস্কারের সমতুল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ড. ফিরদৌসী কাদরীর বিষয়ে ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন বলছে, কাদরী একজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী; যিনি লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে কলেরা টিকা আবিষ্কারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।
বিজ্ঞানী ফিরদৌসী কাদরী কর্মজীবনের একেবারে শুরুর দিকে মেডিক্যাল গবেষণার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর,বি) যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে আইসিডিডিআর’বির ইমিউনোলোজি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। কর্মজীবনের শুরু থেকেই ডা. কাদরী সংক্রামক ব্যাধি, ইমিউনোলজি, ভ্যাকসিন উদ্ভাবন এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ওপর মনোনিবেশ করেন। বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা এবং দুর্বল চিকিৎসা সেবার এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করা কলেরা এবং টাইফয়েডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন ৭০ বছর বয়সী কাদরী। একেবারে স্বল্প দামের মুখে খাওয়ার কলেরা ভ্যাকসিন (ওসিভি) এবং টাইফয়েডের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) টিকাবিষয়ক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফের তত্ত্বাবধানে তিনি গণ ওসিভি টিকাদান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই শরণার্থী শিবিরে গণটিকাদানের কারণে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকানো সম্ভব হয় বলে ওয়েবসাইটে লিখেছে র্যামম ম্যাগসেসে কমিটি। র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টি পুরস্কার ঘোষণার সময় বলেছে, লাখ লাখ মানুষের উপকারে টিকার উন্নয়নে নিবেদিত ভূমিকার জন্য ডা. ফিরদৌসী কাদরীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হলো।
ম্যাগসেসে কমিটির কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছি। র্যামন ম্যাসসেসেকে ধন্যবাদ জানাই। এই পুরস্কার আমি বাংলাদেশ, আমার জন্মভূমির প্রতি উৎসর্গ করলাম। একই সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর’বিকে উৎসর্গ করছি। এই প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে আমার কাজ এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছে। শাসন পরিচালনায় সততা, জনগণের প্রতি সাহসিকতাপূর্ণ সেবা এবং গণতান্ত্রিক সমাজে বাস্তববাদী আদর্শ চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট র্যামন ম্যাগসেসের অবদানের স্মরণে এই পুরস্কারের প্রবর্তন করা হয়েছিল। ১৯৫৭ সালের এপ্রিলে ফিলিপাইন সরকারের সম্মতিতে নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত রকফেলার ব্রাদার্স ফান্ডের ট্রাস্টিরা ম্যাগসেসে পুরস্কার প্রবর্তন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।