বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান অচলাবস্থা দূর করার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করে সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৬ উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে বিদ্যমান আইনের প্রস্তাবনায় তৃতীয় অনুচ্ছেদে উল্লেখিত পার্বত্য জেলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য জনসংহতি সমিতি শব্দগুলোর পরিবর্তে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা-৩ এর উপধারা (২)-এর দফা (ঘ)- তে উল্লেখিত সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ, পদাধিকার বলে শব্দগুলোর পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ বা তৎকর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা-৬ এর দফা (ক)-এর পরিবর্তে পুনর্বাসিত শরণার্থীদের ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ এবং অবৈধ বন্দোবস্ত ও বেদখল হওয়া ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা শীর্ষক নতুন (ক) ধারার শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দফা (খ)-তে উল্লেখিত আইন ও রীতি শব্দগুলোর পরিবর্তে আইন, রীতি ও পদ্ধতি শব্দগুলো এবং দফা (গ)-এর পরিবর্তে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি বহির্ভূতভাবে জলেভাসা ভূমিসহ (ফ্রিঞ্জ ল্যান্ড) কোনো ভূমি বন্দোবস্ত প্রদান বা বেদখল করা হয়ে থাকলে তা বাতিলকরণ এবং বন্দোবস্তজনিত বা বেদখলজনিত কারণে কোনো বৈধ মালিক ভূমি থেকে বেদখল হয়ে থাকলে তা দখল পুনর্বহাল শীর্ষক নতুন (গ) দফা প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়, তবে শর্ত থাকে যে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী অধিকৃত ভূমি ও বসতবাড়িসহ জলেভাসা ভূমি, টিলা ও পাহাড় ব্যতীত কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ এলাকার ক্ষেত্রে এ উপধারা প্রযোজ্য হবে না। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৭, ৯, ১৩, ১৮ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১৬ রহিত করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একদিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।