পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেখ হাসিনার সরকার সাব সময় অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধর্ম অনুশীলন মানুষের মনের জানালা খুলে দেয়। সেই সাথে জগতকে চেনার সুযোগ করে দেয়। অথচ ধর্মের নামে আজকাল কিছু বিভ্রান্ত মানুষের অপকর্ম আমাদের ব্যথিত করছে।
গতকাল রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জন্মাষ্টমি উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করে, নির্যাতন করে তারা দুর্বৃত্ত। এসব দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাইনরিটি (সংখ্যালঘু) না ভাবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে সকলের সমান সুযোগ ও অধিকার রয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে ঈদ ও পূজায় যেভাবে সর্বজনীন উপস্থিতি বাড়ছে, এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। আমরা যখন দেখি, কিছু কিছু জায়গায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দিত।
তিনি বলেন, এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা ধরা পড়েনি, তাদেরও ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে। তারা কেউ ছাড়া পাবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে সবার সমান সুযোগ বা অধিকার রয়েছে। আপনারা নিজেদেরকে মাইনরিটি ভাববেন না। এই অভ্যাস আপনাদেরকে মানসিকভাবে পিছিয়ে রাখবে। আপনারা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। নাগরিক হিসেবে একজন মুসলমান নাগরিকের যে অধিকার, আপনাদেরও ঠিক সমান অধিকার রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার কথা এবং কাজে এটা বিশ্বাস করে। তাই অসা¤প্রদায়িক চেতনা দিয়ে গড়ে তুলতে চাই সম্প্রীতির সোপান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাঝেমধ্যে একটি সা¤প্রদায়কি চক্র ও অশুভ শক্তি এদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য ভাঙতে অপচেষ্টা করে। আমি আপনাদের আশস্ত করতে চাই, শেখ হাসিনা যত দিন সরকারে আছেন, তিনি আপনাদের সঙ্গে আছেন। আপনাদের কোনও ভয় নেই। যারা এই স¤প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে, তারা সফল হবে না।
কাদের বলেন, ২০০১ সালের সেই স্মৃতি আমরা ভুলে যাইনি। সেদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কীভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে, কত মন্দির ভাঙা হয়েছে, কত হিন্দু স¤প্রদায়ের মন্দিরে হামলা করা হয়েছে। অনেক নারী নির্যাতিত হয়েছেন। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
এর আগে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পরাশ্রয়ী আন্দোলন নির্ভর বিএনপি দেশের বিদ্যমান স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে নানামুখী তৎপরতা ব্যাহত রেখেছে। আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম ক্যাম্পাসগুলো উত্তপ্ত করতে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে। সা¤প্রদায়িক দানবদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অতিদানবীয় অপতৎপরতা চালাচ্ছে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছাত্র-শিক্ষকগণ যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ঠুনকো অজুহাতে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার নোংরা রাজনীতি করছে বিএনপি।
সা¤প্রদায়িক দানবদের সাথে নিয়ে বিএনপি অতিদানবীয় অপতৎপরতা চালাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা সরকার নয়, বিএনপিই হচ্ছে আসল দানবীয় শক্তি।
জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়েও বিএনপি মহাসচিব কখনও কোন প্রশ্নেরই জবাব দেননা। প্রশ্ন করলে মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে সামঞ্জস্যহীন জবাব দেন-এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের লাশ নাকি জেনারেল এরশাদ কাঁধে বহন করেছেন। এরশাদ কফিন বহন করেছেন কিন্তু ভিতরে জিয়ার লাশ আছে-তাতো তিনি কখনো বলেননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে তার লাশ রাঙ্গুনিয়া পাহাড়ে কে নিয়ে গিয়েছিলো? ফখরুল সাহেব জিয়ার লাশ নিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।