Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রাণ ফিরেছে বাঁকখালীর

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

বাঁকখালী নদীতে ১৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮.৫ কিলোমিটার খাল খনন হওয়ায় এই ড্রেজিংয়ের সুফল পেল কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার নদী তীরবর্তী ৪ লাখ মানুষ। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগের সদর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান এই কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদরের প্রকৌশলী খন্দকার আলী রেজা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প বাঁকখালী নদী ড্রেজিং এবং রক্ষাবাঁধ প্রকল্পের কাজ হওয়ায় ২ উপজেলার জানমাল ও কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। তিনি আরও জানান, নদী খননসহ প্রতিরক্ষা বাঁধের ফিনিশিং টাচে ব্লক প্লেসিং, বাঁধে স্থায়িত্বকরণে ফিনিশিং শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এ প্রকল্পের সুফল ইতোমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে কক্সবাজারের জনগণ বিশেষ করে গেল ২ বছরে কক্সবাজার সদর ও রামুতে ‘ফ্লাশ ফ্লাড’ হয়নি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। এখানে গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
নদী থেকে বালি উত্তোলন বাবদ বালি বিক্রি করে ৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়েছি। তাছাড়া সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে, সামাজিক প্রতিষ্ঠানে, জলাভূমি ভরাটেও বিনা টাকায় বালি দিতে হয়েছে। প্রকল্পটি ১৯৫ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেট থেকে উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হওয়ায় রামু এবং কক্সবাজার সদরের ২১ ইউনিয়ন বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে। পাশাপাশি ১৯ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে নির্বিগ্নে চাষাবাদ করতে পারবে কৃষকরা। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়াতে কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার নদী তীরবর্তী প্রায় ৪ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা দূরীভূত হওয়ায় তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রাণ ফিরেছে বাঁকখালীর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ