পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়কে বড় বড় গর্ত। তাতে জমে আছে পানি। যানবাহনের চাকার ধাক্কায় গর্ত আরো বড় হচ্ছে। কোথাও কোথাও এসব গর্ত ডোবার আকার ধারণ করেছে। ডোবায় আটকা পড়ছে যানবাহন। বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলছে হেলে দুলে। তাতে তীব্র যানজট হচ্ছে, বাড়ছে দুর্ঘটনা। এমন বেহাল দশা চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সড়কের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায়। শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজে খোঁড়াখুঁড়িতে এমন নাজুক অবস্থা এই সড়কের আরো কয়েকটি এলাকায়।
উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়ি, বিভিন্ন সংস্থার রাস্তা কাটাকাটি, প্রকল্পের কাজে ধীরগতিতে নগরীর প্রায় সব সড়কের অবস্থা এখন বেহাল। টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, জোয়ার আর পানিবদ্ধতায়ও ক্ষত-বিক্ষত নগরীর অনেক সড়ক। এসব সড়ক যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পিচ ঢালা সড়কে ঢালাই, ইট সরে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের হিসাবে বৃষ্টি, জোয়ারে নগরীতে সড়ক অবকাঠামোয় ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
রাস্তায় নেমেই দুর্ভোগে পড়ছে নগরবাসী। অনেক সড়ক কাদামাটিতে সয়লাব। প্রতিটি সড়কে তীব্র জট, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। যানজটে স্থবির নগরীর বেশিরভাগ এলাকা। বিশেষ করে বন্দর এলাকায় যানজট এখন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। তাতে আমদানি-রফতানি পণ্য ও মালামাল পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। যানজটে আটকা পড়ে কর্মজীবী মানুষের কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। নগরীর সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সিটি কর্পোরেশন সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করলেও অর্থের অভাবে তা ব্যাহত হচ্ছে।
নগরীর প্রধান সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বন্দরটিলা, ইপিজেড, সল্টগোলা ক্রসিং হয়ে বারিক বিল্ডিং এবং আগ্রাবাদ থেকে দেওয়ান হাট পর্যন্ত চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। খোঁড়াখুঁড়িতে বেহাল পুরো সড়ক। ইপিজেড মোড় থেকে বন্দরটিলা পর্যন্ত সড়কে একপাশে হাঁটু পানি জমে আছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় বৃষ্টি না হলেও সড়কের ওই অংশে পানি জমে থাকে। তাতে সড়কের অবস্থা আরো বেহাল হচ্ছে। একই অবস্থা আগ্রাবাদ বাদামতল থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত অংশে।
প্রধান সড়কে যানজট এখন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকছে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন। নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোর্ট কানেকটিং রোড, মাঝির ঘাট সড়ক, টোল রোড, টাইগারপাস সড়ক, ডি টি রোড, বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কেও চলছে উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়ি। সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন বছর পরেও পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন কাজ শেষ হয়নি। হালিশহর থেকে অলঙ্কার পর্যন্ত সড়কে এখনো খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। বর্ষায় পুরো সড়ক খানাখন্দ আর কাঁদায় সয়লাব। এর ফলে বন্দরমুখী আমদানি-রফতানি পণ্য ও মালামালবাহী যানবাহন আটকা পড়ছে। সংস্কারের অভাবে বেহাল নগরীর বন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট পর্যন্ত টোল রোড। এ দুটি সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে আউটার রিং রোডে। নবনির্মিত ওই সড়কেও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি এবং জোয়ারে প্রধান প্রধান সড়কের পাশাপাশি নগরীর অলিগলি সড়কও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ষোলশহর, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, হামজারবাগ, এ কে খান মোড়, অলঙ্কার, পাহাড়তলী, হালিশহর, ছোটপোল, শান্তিবাগ, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ নিয়মিত জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে। জোয়ারের সময় ডুবে যাওয়া সড়কে ভারী যানবাহন চলায় সড়কের ঢালাই, ইট উঠে গেছে। পাহাড়ী ঢলেও নগরীর কয়েকটি এলাকার সড়ক ভেঙে যায়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, বৃষ্টি-জোয়ারে নগরীর ৪০ কিলোমিটার সড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় একশ কোটি টাকা। এসব সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পুরোদমে সংস্কার কাজ চালাতে মন্ত্রণালয়ে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।