Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৃথিবীর সর্ব উত্তরের ভূ-খণ্ড খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ২:২৩ পিএম

গ্রিনল্যান্ডে পৃথিবীর সর্ব উত্তরের একটি ভূ-খণ্ড আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এক দল বিজ্ঞানীর দাবি, তারা দুর্ঘটনাবশত একটি দ্বীপ আবিষ্কার করেছেন এবং তারা এটাও বিশ্বাস করেন যে এটিই হলো পৃথিবীর সর্ব উত্তরের ভূ-খণ্ড যা গ্রিনল্যান্ডের উপকূলে অবস্থিত। খবর বিবিসির।

গ্রিনল্যান্ড আর্কটিক অঞ্চলের এক স্বায়ত্তশাসিত এলাকা। ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণাধীন এ এলাকায় রয়েছে অনেকগুলো ছোট ছোট দ্বীপ। চলতি বছর জুলাই মাসে বিজ্ঞানীরা ১৯৭৮ সালে আবিষ্কৃত গ্রিনল্যান্ডের ওদাক দ্বীপে নমুনা সংগ্রহ করতে যান। এতো দিন ধরে এটিকেই সর্ব উত্তরের দ্বীপ বলে ধরা হতো।

বিজ্ঞানীদের দলটি ওদাক ছাড়িয়ে আরও উত্তরে চলে যান। কিন্তু তারা বুঝতে পারছিলেন না তারা কোথায় আছেন। পরে ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার অবস্থান চিহ্নিতকরণ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তারা জানতে পারেন, ওদাক দ্বীপ থেকে তারা আরও ৮০০ মিটার (২,৬২৫ফুট) উত্তরে চলে গেছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্বীপটি উত্তর মেরুর সবচেয়ে নিকটবর্তী ভূ-খণ্ড। এটির দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার ও প্রস্থ ৩০ মিটার।

ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেনের গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত আর্কটিক স্টেশনের প্রধান গবেষক মর্টেন রাশখ বলেছেন, ওদাক দ্বীপটি পৃথিবীর সর্ব উত্তরের দ্বীপ হিসেবে পরিচিত ছিল। আমরা ৬ জন মিলে একটি হেলিকপ্টারে চড়ে রওনা হয়েছিলাম। কিন্তু মানচিত্র অনুযায়ী ওদাক দ্বীপের অবস্থানে পৌঁছানোর পরও দ্বীপটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

তিনি বলেন, আমরা সেখানে নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম বৈরি পরিবেশে কিভাবে জীববৈচিত্র্য খাপ খাইয়ে নিচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য। আমরা লক্ষ্য করছিলাম যে জায়গাটিতে আমরা পৌঁছেছি সেটি কর্দমাক্ত। এটি খুব একটা সহজাত এলাকা নয়। ফলে ওদাক দ্বীপের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছিলন না ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের এ দলটি।

প্রধান গবেষক মর্টেন রাশখ আরও বলেন, পরে আমরা বুঝতে পারি আমরা একটি নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করতে পেরেছি। তিনি বলেন, যদিও এটা বড় কিছু নয়, তবে এর বৈশিষ্ট্যগুলো কাজে লাগবে। নতুন এ দ্বীপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কিউকারটেক আভানারলেক’ যার অর্থ হচ্ছে সর্ব উত্তরের দ্বীপ।

কয়েক বছর ধরে গ্রিনল্যান্ড বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে। ২০১৯ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি কিনতেও চেয়েছিলেন।



 

Show all comments
  • Faruk Ramiza Rafia ২৯ আগস্ট, ২০২১, ৬:৫৩ পিএম says : 0
    সেখানে কি পাওয়া গেছে??
    Total Reply(0) Reply
  • মানারাত ২৯ আগস্ট, ২০২১, ৬:৫৪ পিএম says : 0
    বিজ্ঞানীরা এখনও পৃথিবীর অনেক কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি, আরও কত কিছু আছে
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ নুরুল আমিন ২৯ আগস্ট, ২০২১, ৬:৫৫ পিএম says : 0
    সবই আল্লাহর অপারূপ সৃষ্টি
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ খাইরুল ইসলাম ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৭:৪২ এএম says : 0
    বিজ্ঞান এখনো অনেক কিছুই আবিষ্কার করতে পারে নি, হয়তো বা ১০০ বছরে পারবে কিনা সেটা আল্লাহ জানেন। পবিত্র কোরআনের সুরা কাহাফে আল্লাহ তায়ালা বাদশা জুলকার নাইনের কথা বলেছেন, বলা হয়েছে জুলকার নাইনের কথা, সুরাঃ কাহাফের ৯৪-৯৮আয়াতের আলোচনায় বলা আছে, জুলকার নাইন যখন ২টি পাহাড়ের পাদদেশে পৈছিলেন তখন সেখান খান কার অধিবাসিরা জুলকার নাইন কে বলল তাদের মধ্যে ইযুজ মাযুজ বিশৃঙ্খলা সুষ্টি করতেছে, তাই এখানে একটি প্রাচির নির্মান করে দিতে, সেদিন বাদশা জুলকার নাইন প্রচাীর নির্মান করেছিলেন, । বিজ্ঞানীরা আজও সেই প্রাচীর খুজে পায় নি। কোথায় সেই সীমানা প্রাচীর? বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানী রা পৃথীবির যে আয়তন নির্ধারিত করেছে সেটাও সত্য নয়, কেনো না এই আয়তনের মধ্য জুলকার নাইনের প্রাচী খুজে পায় নি তারা, তার মানে হলো এখনো অনেক কিছু আবিষ্কার করার বাকি আছে। সর্বপরি একটি কথা বিজ্ঞান কখনো সত্যের মাপকাঠি নয়। বিজ্ঞানের কোনো ত্বথ্যই স্ট্যাবল নয়, বিজ্ঞান আজ বলবে এক কথা পরে আবার সেটা গবেষণা করে অন্য বিজ্ঞানী সেই ত্বথ্য পালটে দিবে, তাই বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল।
    Total Reply(0) Reply
  • Ranojit Karmakr ৩১ আগস্ট, ২০২১, ২:১২ এএম says : 0
    Vhagban এর সৃষ্টি এই অপরূপ সৌন্দর্য পৃথিবীতে আরো কতো কিছু আছে তা মানুষের অজানা vhagaban এর কৃপা লাভ করতে পারলে আরও অনেক কিছুই জানা যাবে দেখা যাবে,,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • MD:SHOHEL ৩১ আগস্ট, ২০২১, ৫:৩০ পিএম says : 0
    এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন
    Total Reply(0) Reply
  • Burhan uddin khan ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৪৪ পিএম says : 0
    Science always helping us....
    Total Reply(0) Reply
  • Burhan uddin khan ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:৩৬ পিএম says : 0
    Holy Al Quran is the mother of science
    Total Reply(0) Reply
  • Shaikh Amjad Hossain. ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:০৭ পিএম says : 0
    ইয়াজুজ মাজুজকে খুঁজতে যাওয়া বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য ছিলনা।গ্রিনল্যান্ডের উত্তরে কোন দীপ তাজানতে তারা সেখানে গিয়ছিলেন। জুলকারনাইনের প্রাচির নিয়ে তাদের মাথাব্যাথার কারন স্পষ্ট নয়। যাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা বোধ হয় ইয়াজুজ-মাজুজের নামও হয়তো শোনেইনি। এটা শোনার কথা মুসলমানদের অথচ তাদের সংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৮ ভাগের মাত্র এক ভাগ। (বিজ্ঞান কখনও সত্যের মাফকাঠি নয়।)কথাটা যদি সত্য হয় তবে আমার পৃথিবী থাকতো আদিম অবস্থায়। এখনো আমরা থাকতাম উলঙ্গ এবং বৃক্ষ বা গুহাবাসী। কাজেই মোঃখাইরুল ইসলাম সাহেবকে অনুরোধ করব বিজ্ঞান নিয়ে আরও ভাবুন। আপনার জন্য একটা হাদিস উপহার দিলাম, জ্ঞানী দের কথা মন দিয়ে শোন এবং বিজ্ঞানের শিক্ষা অন্য দের মনে সঞ্চারীত করা ধর্মাচার অনুষ্ঠানের চেয়ে উত্তম। এটা বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ