পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জিয়ার জানাজায় হাজার মানুষের সমাগম হলেও সেদিন কফিনে লাশ ছিল কি না সে সন্দেহ থেকেই যায়। মানুষ একজন প্রেসিডেন্টের জানাজা পড়েছে, কিন্তু কফিনে যে লাশ ছিল তা তো দেখাতে পারেননি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের জানাজায়ও হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল, কিন্তু কফিনে তো তার লাশ ছিল না।
গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড’ শীর্ষক আলোচনায় অনলাইনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজার লোক জানাজা পড়া আর কফিনে লাশ থাকা এক কথা নয়। ওই কফিনে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল না। বিএনপি সত্যকে গোপন করে রাখতে পারবে না। ইতিহাসে সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। তিনি বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবরে গিয়ে যে মারামারি করল বিএনপি, তারা জানে না যে সেখানে জিয়ার কবর নাই, জিয়া নাই ওখানে, জিয়ার লাশ নাই? তারা তো ভালোই জানে। তাহলে এত নাটক করে কেন? খালেদা জিয়াও ভালোভাবে জানে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারকারী একটি চক্র। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। দেশের অগ্রযাত্রা টিকিয়ে রাখতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ১৫ অগাস্টের হত্যাকান্ডে জিয়া জড়িত ছিল দাবি করে কাদের বলেন, তিনি মেজর ডালিমকে বলেছিলেন, ওয়েল ডান মেজর ডালিম, ইউ হ্যাভ ডান আ গ্রেট জব। লরেন্স লিফশুজ, অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের বইয়ে এগুলোর বর্ণনা আছে সবিস্তারে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের বক্তব্য আছে, প্রতিক্রিয়া আছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে সেকুলারিজম, তা না চাইনিজ না রাশিয়ান। তার মতাদর্শ সম্পূর্ণ আলাদা এক মডেল। এটি বাংলাদেশ এবং বাঙালির মডেল। ধর্মীয় মূল্যবোধ সেটির প্রতিও বঙ্গবন্ধুর শ্রদ্ধা, সেই সাথে অন্য ধর্মমতকে বিকশিত করা এবং সব ধর্মের প্রতি একটি সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি রেখে সেই মূল্যবোধকে বিকাশ ঘটানো। এটি বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব এক মডেল, যা ওই দুটির সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, সহ-সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের অধ্যাপক খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।