পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাজ্য কোনো কারণ ছাড়াই কোভিড ইস্যুতে বাংলাদেশকে রেড অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি লোক মারা গেছে ভারতে, অথচ তাদের রেড অ্যালার্ট দেয়নি। তিনি বলেন, কেউ কেউ বলে এর কারণ হচ্ছে, যিনি ইংল্যান্ডের সেক্রেটারি অব হাউসে রয়েছেন, তিনি অরিজিন্যালি পাকিস্তানের। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ: একটি জাতির উদ্ভব ও মুক্তির মহাকাব্য’ শীর্ষক সেমিনার শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জেনেভা সফর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না, টিকা নিয়ে যা প্রসেস-প্রসিডিউর আমরা ইতিমধ্যে নিয়েছি। সব দেশ টিকা উৎপাদন করে না। আমি যাচ্ছি জেনেভাতে, ওরা টিকা উৎপাদন করে না। সেখানে কোভ্যাক্সের আলোচনাটা হয়, সেটা আমরা কন্টিনিউয়াসলি করে যাচ্ছি। তাই নতুন করে কোনো এজেন্ডা নয়, রেগুলার ইস্যু। জেনেভাতে যাচ্ছি, এলডিসির যে সামিট হবে সেখানে। এরপর আমি যাচ্ছি নেদারল্যান্ডস। সেখানে গ্লোবাল অ্যাডাপটেশন নিয়ে রিজিওনাল সেন্টার আছে। আমি অ্যাডাপটেশন কমিটির একজন বোর্ড মেম্বার। বোর্ডের মিটিং হবে। সে কারণে ওখানে যাচ্ছি। সেখানে অনেক লোকজন থাকবেন। কোপ-২৬-এ আমরা কী অর্জন করতে চাই, সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা হবে। ২ সেপ্টেম্বর শেষ হবে জেনেভার সম্মেলন এবং ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হবে নেদারল্যান্ডস। মাঝের ওই অল্প সময়ের জন্য দেশে না ফিরে লন্ডনে যাব। লন্ডনে আমরা তো অনেকদিন ধরে যাইনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি তাজ্জব হলাম শুনে, যুক্তরাজ্যে আমাদের হাইকমিশনার বললেন, ড. কামাল হোসেনই শেষ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের ফরেন মিনিস্টার হাউজে দেখা করেছিলেন, ১৯৭৪-এ। এরপর নাকি কেউ দেখা করেনি। আমার খুব তাজ্জব মনে হল। এবার উনার সঙ্গে দেখা হবে। এর আগে উনার সঙ্গে আমার ব্যাংককে দেখা হয়েছে। সেখানে অনেকগুলো ইস্যু আছে। তাছাড়া ক্লাইমেট ইস্যুটা আমাদের বড় ইস্যু। সুতরাং তাদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। আমাদের রোহিঙ্গা ইস্যু, বিগ ইস্যু, তাদের সঙ্গে সবসময় আলাপ হচ্ছে, আরও আলাপ করতে হবে।
আফগানিস্তান ইস্যুতে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখেন, আমরা কয়েক সপ্তাহ আগে প্রাইভেটলি যারা ওখানে আছেন, তাদের বলেছিলাম, আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা সেইফ জায়গায় চলে যান। অনেকেই এটা গ্রহণ করেছেন। কারণ আমাদের ধারণা ছিল যে, সমস্যা হতে পারে। যেহেতু আমাদের ওখানে দূতাবাস নাই, সুতরাং মোর ডিফিকাল্ট হবে। কেউ কেউ শুনেছেন। আমরা তখন ব্র্যাককে অ্যাপ্রোচ করেছিলাম। তাদের লোকগুলোকে মোটামুটি সেইফলি নিয়ে এসেছে। কিন্তু আফগানিস্তানের যে ১৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী আমাদের দেশে পড়ে, তারা এখন আসতে চাচ্ছে, তাদের দেশে প্রবলেম বলে আসতে চাচ্ছে। আসতে চাইলে আসুক, কিন্তু দে হ্যাভ টু মেক দেয়ার ওয়ে আউট। আমাদের তো ওখানে এমন কিছু নেই যে আমরা ওদের নিয়ে আসতে পারি। আমি শুনেছি, ওরা বাঙালি না। ওরা সবাই আফগান। সো আই ডোন্টে নো। তিনি বলেন, উজবেকিস্তানে আমাদের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে বাংলাদেশের ১৫ জন নিরাপদ আছেন। কিন্তু ভয়ে এয়ারপোর্টে যাচ্ছেন না। সো উই ডোন্ট নো। অবস্থার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।