বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার মধ্যদিয়ে এদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবেনা বলে জিয়া সংসদে আইন পাশ করেছিল। গোলাম আযমসহ যাদের নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে গিয়েছিল তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনে জিয়া নাগরিকত্ব দিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীসহ বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত করেছিল। তার পরেও কি আমরা বলবো জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি নয়। জিয়া পরিকল্পনা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারকে হত্যার করেছে। জিয়ার পাপের প্রায়শ্চিত্ত তাঁর পরিবার করছে। বিভিন্ন অপরাধে তার স্ত্রী জেল খেটেছে। তার বড় পুত্র জঘন্য অপরাধ করে দেশে প্রবেশ করতে পারছেনা। আর এক ছেলে মাদকসেবী হিসাবে মারা গেছে। জিয়া তার পরিবারকে এই শিক্ষায় দিয়েছিল বলে তাদের আজ এই পরিণতি। জিয়াসহ তার পরিবার পাপের সাগরে ডুবে গিয়েছিল। সেই সাথে এই দেশটাকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনার ডায়নামেকি নেতৃত্বের কারণে এদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজ বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দিকে চলছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ ফান্ড বর্তমানে বিলিয়নে ছুঁইছুঁই করছে। আগে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ধর্ণা দিতে হত। আর এখন বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের পিছনে ধর্ণা দেয়। এই হল শেখ হাসিনার কারিশমা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বঙ্গবন্ধুর নাম ও জয়বাংলা বলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর অনেক জেল, জুলুম ও নির্যাতন করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও শত নির্যাতন শয্যকরে আমরা সত্য ন্যায়ের পক্ষে ছিলাম। সত্য আর ন্যায়ের পক্ষে ছিলাম বলেই বাংলাদেশ আজ সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের বঙ্গবন্ধু আদর্শ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। শনিবার বিকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদের হলরুমে বিরল উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান সানমুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায় ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিরল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আক্তার আলী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, আল্লামা আজাদ ইকবার লাবু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।