Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

টঙ্গীবাড়ীতে পদ্মার তিব্র স্রোতে বিলীন ঘরবাড়ী সহ বসত ভিটা

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২১, ২:২০ পিএম

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী এলাকা গুলোতে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় ১৫ টি গ্রাম। উপজেলার হাসাইল-বানারী, দিঘীরপার, কামারখাড়া ও পাঁচগাঁও ইউনিয়নে পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম গুলোতে আতঙ্কে দিন কাটছে ওই এলাকার মানুষ।

২৮ অক্টোবর শনিবার সরজমিনে উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়ন এর চৌষার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আকস্মিক পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি পরিবারের ঘরবাড়ী সহ বসতভিটা। কেউ কেউ ঘর বাড়ী ভেঙে নিরাপদ ¯হানে সরিয়ে নিয়ে রাখছেন আর কিছু পরিবার এখনও আতঙ্ক নিয়েই বসবাস করছেন নদীর পাড়ে তাদের বসত ভিটায় ।

সেখানে গিয়ে আরও দেখা গেছে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিওব্যাগ নদীতে ফেলেও কোন ভাবেই ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না।

 

উপজেলার চৌষার গ্রামের আব্দুল মকিম শেখ (৫৬) জানান, কোন কিছু আন্দাজ করার আগেই রাতে হঠাৎ পদ্মা নদীর তিব্র ঘূর্ণিস্রোতের কারণে নদীতে ভাঙন দেখা দেয় এতে আমাদের ঘরবাড়ী ও বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে পদ্মায় । এতে পরিবার নিয়ে বিসম বিপাকে আছেন তিনি সহ ¯হানীয় আওর কিছু পরিবার । খোলা আকাশের নিচেই বসবাস করছেন পরিবার পরিজন নিয়ে । কোথাও কোনো খালি জমি নেই ঘর বাড়ী ও তাদের বসবাস করার জন্য।তিনি আরও বলেন পরিবার নিয়ে বসত ভিটা হারিয়ে অনেক কস্টে দিন কাটাচ্ছি, এই মুহুর্তে আমি ¯হানীয় ও প্রশাসনের কাছে খাদ্য সহ সকল প্রকার সহযোগিতা কামনা করছি।

এ ঘটনায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন জানান, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি, ওই এলাকার মনুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগও চলমান রয়েছে । পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের নদী ভাঙন এর বিষয়টি জনানো হয়েছে এবং তারা সেখানে পরিদর্শনও করেছেন।
মোঃ রনি শেখ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ