বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হত্যা মামলায় আসামী হয়ে স্বামী জেল হাজতে। নিরাপত্তাহীনতায় বাড়িঘর ছেড়েছে স্ত্রী, পুত্র কণ্যাসহ পরিবারের লোকজন। এই সুযোগে আসামীদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে শুন্য করা হচ্ছে ভিটে। এমন ঘটনা নতুন নয়, হত্যার ঘটনা ঘটলেই এর পূর্নরাবৃত্তি ঘটে মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এমন একটি ঘটনা মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বানিয়াবহু গ্রামে ঘটছে। দেখা যাচ্ছে ভীটেমাটি পড়ে রয়েছে ঘরবাড়ির চিহৃ নেই।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৯জুন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন মাহফুজার মোল্যা। এরপর মামলা হয়। পুলিশ আসামীদের কয়েকজনকে আটক করে। বাকি পলাতক আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ফলে আসামীদের বাড়ি পুরুষ শুণ্য হয়ে পড়লে ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যান মহিলারা। এই সুযোগ নিয়ে তাদের বাড়িঘরে ভাংচুর করা হচ্ছে। তাদের ঘরগুলো গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে।
মামলার আসামী কদম আলীর স্ত্রী পারভীন বেগম জানান, তার বাড়িতে ৪টি পাকা ও আধা পাকা ঘর ছিল। বাদির লোকজন এই হত্যার পর বিভিন্ন সময়ে তার বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার প্রায় ১৭ লাখ টাকার মালামাল চুরি ও ক্ষতি করে। এ ঘটনায় সে ১৮জুলাই ২০২১ মাগুরার বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করে।
জানা যায়, হত্যা মামলার অপর আসামী নায়েব আলীর স্ত্রী সেলিনা বেগমও একই আদালতে একটি ভাংচুর মামলা করেন। মামলার ৩৮ দিনের মাথায় পারভীন বেগমের এখন ঘর বলতে কিছুই নেই। সব গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সবুজ মোল্যারও সবগুলো ঘর গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে শুধ ভীটে ছাড়া ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি।
স্থানীয় সালেহা বেগম নামে এক নারী বলেন, কিছু অসৎ লোক রাত গভীর হলেই আসামীদের বাড়িতে এসে ভাংচুর চালায়।
জামিনে বের হয়ে আসা হত্যা মামলার আসামী হোসেন মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিনে মুজিব মোল্যা, নাজির মোল্যা, আউয়াল মোল্যা, আকবর মোল্যাসহ মামলার কয়েকজন আসামীর বাড়িতে ভাংচুর করা হয়েছে। প্রায়ই ভাংচুর করা হচ্ছে। প্রতিপক্ষের লোকজন সবার বাড়িঘর গায়েব করে দিচ্ছে। তারা ভিটে থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে।
মহম্মদপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, নতুন করে ভাংচুরের কোন সত্যতা পাননি বলে জানান। তবে তিনি পুরনো ভাংচুরের মামলা তদন্তনাধিন আছে এবং কয়েক জন আসামির পরিবারকে তাদের বাড়িতে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি অভিযোগ পাওয়া গেলে তবে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯জুন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন মাহফুজার মোল্যা। এরপর মাহফুজার মোল্যার বাবা আফসার মোল্যা বাদি হয়ে গত ৩০ জুন ২১জনকে আসামী করে মহম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৭জন আসামী এখন জেলে আছে। ১জন জামিন পেয়েছেন। পলাতক রয়েছে ৩জন আসামী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।