Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কলাপাড়ায় আবারও ধরা পড়েছে ৭ পাখি মাছ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মৎস্য বন্দর মহিপুরের জেলেদের জালে আবারো ধরা পড়েছে ৮ মণ ওজনের বিরল প্রজাতির ৭টি পাখি মাছ। গত বৃহস্পতিবার রাতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে কালাম উল্লাহ নামে এক মাঝির জালে ৫টি ও সোবাহান নামের অপর এক মাঝির জালে ২টি মাছ ধরা পরে। ৭টি মাছের মধ্যে ৩টির ওজন ৬০ কেজি করে, ১টির ওজন ৪৫ কেজি ও অপর ৩টির ওজন ৩১ কেজি করে। পরে গতকাল দুপুরে মাছগুলো মৎস্য বন্দর মহিপুরের এমকে ফিস নামের গদিতে বিক্রি করতে নিয়ে আসা হয়। মাছগুলো এক নজর দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।

জেলেরা জানায়, দ্রুতগামী এ পাখি মাছ এর আগে কখনো তাদের জালে ধরা পরেনি। মাছের ওজন বেশি হওয়া ঘাটে নিয়ে আসতে তাদের বেশ কষ্ট হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, মাছগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ার দেশের বাইরে বেশ চাহিদা রয়েছে। পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ বলেন, এলাকার মানুষ এটিকে পাখি মাছ নামে চিনলেও এটির সাইন্টিফিক নাম সেইল ফিশ। দ্রুতগামী এ মাছ খেতে খুব সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ মাছ গভীর সমুদ্রে বেশি দেখা যায়।

এর আগে গত বুধবার রাতে বঙ্গোপসাগরের বৈরাগী বয়া সংলগ্ন এলাকায় এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারে নুরুন্নবী মাঝি নামের এক জেলের জালে ৮টি পাখি মাছ ধরা পড়ে। ৮টি মাছের মধ্যে ৩টির ওজন ৬০ কেজি করে, ৪টির ওজন ৫৫ কেজি করে ও অপর ১টির ওজন ৪০ কেজি। পরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মহিপুরের আড়ৎ পট্টিতে মাছগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। নুরুন্নবী মাঝি বলেন, প্রায় ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২ ফুট প্রস্থের ৩টিসহ মোট ৮টি পাখি মাছ ট্রলারে তুলতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
মাছগুলো মেসার্স টিপু ফিস মৎস্য আড়তের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী পিন্টু ভদ্র এ মাছ কিনেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৭ পাখি মাছ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ