Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাব্যতা সংকট: শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝি নৌরুটে ফেরি চালু হচ্ছে না

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১১:৩৬ পিএম

ফেরি চলাচলের জন্য প্রস্তুত শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝি নৌরুট। এখন অপেক্ষা উদ্বোধনের। আগামীকাল শুক্রবার শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝি রুটে ফেরি চলাচল উদ্বোধনের কথা থাকলেও নাব্যতা সংকটের কারণে রোববার থেকে ফেরি চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে যানা গেছে। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার মঙ্গলমাঝির ঘাটে ফেরি চালু করতে হলে ড্রেজিং লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তারা আরও জানান, ফেরি চলাচলের জন্যে গভীরতা প্রয়োজন কমপক্ষে সাড়ে সাত থেকে আট ফুট। কিন্তু, গভীরতা আছে পাঁচ থেকে ছয় ফুট। পদ্মা সেতুর ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের কাছে নাব্যতা সংকট দূর করতে প্রায় এক শ মিটার এলাকার জুড়ে ড্রেজিং লাগবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর এর জন্য পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের অনুমতিরও প্রয়োজন হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত এ নৌপথে ফেরি চালুর বিষয়ে অনুষ্ঠিত অনলাইন সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম ও পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, শরিয়তপুর জেলা প্রশাসনসহ ঘাট সংশ্লিষ্ট বিআইডব্লিউটিএ-বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।

সভায় উপস্থিত থাকা বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির দুই কর্মকর্তা জানান, নতুন এ নৌপথ পদ্মা সেতুর ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে যাবে। গতকাল ওই স্থানে প্রায় ১২-১৩ ফুট পানি ছিল। কিন্তু, আজ সেখানে পানির গভীরতা পরিমাপ করে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পাওয়া যায়। পাশের একটি বড় চর ভেঙে ফেরি চলাচলের পথে পড়ছে। চ্যানেল সরু হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফেরি চালানো উপযোগী নয়। এ ছাড়া, সেতুর পিলারের ২৫০ মিটারের মধ্যে ড্রেজিং করতে সেতু কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। ড্রেজিংয়ের জন্য আগামীকাল সার্ভে করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। এতে দুই-একদিন সময় লাগবে।

এদিকে, মাঝিকান্দি থেকে গাড়ি চলাচলের সুবিধার জন্য জাজিরার পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-২'র সড়ক ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। যেখানে সেতুর দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শকরা থাকেন। ওই পথ ব্যবহারের বিষয়েও পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হবে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নৌপথে ফেরি চালু হবে না।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, ড্রেজিং ও সড়ক ব্যবহারের বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সিদ্ধান্ত নেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝি নৌরুট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ