পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেছেন, বাণিজ্যিক ভবন মালিক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দোকান মালিকদের অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে প্রাথমিক উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত না করলে আমরা চাপ প্রয়োগ করবো। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনে আয়োজিত ‘অগ্নি নিরাপত্তা-আমাদের করনীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা কেউ চাই না যে অগ্নিকাÐ কিংবা দুর্ঘটনা ঘটুক আর আমাদের জানমালের ক্ষতি হোক। ব্যবসায়ীরাই ভালো জানেন যে, আপনাদের প্রতিষ্ঠানে কোথায় ‘রিস্ক’ আছে। একজন পাবলিক যখন আপনাদের দোকানে আসছে তখন তার নিরাপত্তারর দায়িত্ব কিন্তু আপনার। সে আস্থা নিয়েই আপনাদের দোকানে ঢুকছে যে তিনি এখানে নিরাপদ। তাই প্রাথমিক দায়িত্ব আপনারা গ্রহণ করুন। যা সমস্যা আছে তা আমাদের জানান আমরা সমাধানের উদ্যোগ নেবো। ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা, কার্যক্রম জরুরি। তবে আমাদের শর্ট টার্ম কিছু কাজও কিন্তু আছে।
ঢাকা শহরে অনেক দোকান, ভবন কিন্তু অগ্নি নিরাপত্তার দিক থেকে খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ভবনের ফায়ার সেফটি নিশ্চিতে ঋণের প্রয়োজন হলে সরকার তা দিতে রাজি আছে।
সালমান এফ রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফায়ার সেফটি বিষয়ক কমিটি গঠন করে দেয়ার পর আমাদের জাতীয় কমিটির কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সাব কমিটির কাজ চলছে। এই কমিটিতে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও তাদেরকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এখন ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয় অনেকে এই ভোগান্তির জন্য ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে চায় না। আমরা চাই ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে একজনকে যেন বিভিন্ন জায়গায় না গিয়ে এক জায়গা থেকেই যেন সকল সেবা পায়। সবাইকে নিজ নিজ মার্কেটের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কারও উপর দায় না চাপিয়ে নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করা। আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য আমরা এলাকা ভিত্তিক সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবো। সবাইকে ফায়ার সেফটি বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় তাদের ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কোন সুবিধা দেয়া হবে না। মার্কেটে ফায়ার সেফটি না মানলে সেই মার্কেট বন্ধ করে দেয়া হবে।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিনিয়ির সচিব সিরাজুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন, রাজউকের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, স্থপতি ইকবাল হাবীব প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।