মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সরাসরি ফ্লাইটে আসতে পারবেন কক্সবাজার বিমানবন্দরে। কারণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হবে এটি। এজন্য বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। আগমী ২৯ আগস্ট প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের পরিণত করতে নিজের পরিকল্পনার কথা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতকে সহজ ও আরামদায়ক করতে বিমানবন্দরটি আধুনিকায়নের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হয়। ইতোমধ্যে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজারে এবং প্রস্থ ১২০ ফিট থেকে ২০০তে উন্নীতকরণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত রানওয়েতে বিমানের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময়ই এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফিট থেকে ১২ হাজারে উন্নীতকরণের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৭০৯৬০ দশমিক ৮৪ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফিট থেকে ১০৭০০ ফিটে উন্নীত হবে। এছাড়া প্রিসিশন এপ্রোচ ক্যাট-১ লাইটিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। ফলে উড়োজাহাজ পূর্ণ লোডে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। যার কারণে বিমানবন্দরের ফ্লাইট সংখ্যার পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
বেবিচক জানিয়েছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে কাজ দেয়া হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানকে। চলতি বছরের ৯ ফেব্রæয়ারি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পটি গত ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন প্রদান করেন। ৫ হাজার ১শ’ ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ২৯ আগস্ট প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্প শেষ হলে কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।