বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দিন অর্থাৎ শেষ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তীত শোনানী ও সাক্ষ গ্রহণ আগামী ৫-৮ সেপ্টেম্বর টানা ৪দিন চলবে বলে জানান আদালত। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ড়ে ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শেষে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা দেন আদালত।
গত তিন দিনে মামলার বাদি নিহত সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও মামলার অপর গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষী গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এসময় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ মামলার ১৫ জন আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। আলোচিত এই মামলার সব সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যায়ক্রমে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার—টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। ওই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হল ২৩ আগস্ট।
এদিকে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণকালে গত মঙ্গলবার আসামি প্রদীপ কুমার দাশ আদালতের কাঠগড়া থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলার বিষয়টি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। এ বিষয়টি বিচারকের নজরে আনা হলে বিচারক প্রদীপকে কড়াভাবে সতর্ক করেন। আর এজন্য ওসি প্রদীপ আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, কাটগড়ায় থেকে আসামি প্রদীপ কুমার দাশ মোবাইলে কথা বলার বিষয়টি গতকাল বুধবার আদালত চলাকালে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এর নজরে আনা হলে বিচারক বিষয়টি আসামি প্রদীপ কুমার দাশ থেকে তাৎক্ষণিক জানতে চান। প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
বিচারক ভবিষ্যতে এধরণের মোবাইল ফোনে কথা বলা সহ আদালতে যেকোন ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার ও বহন করা থেকে বিরত থাকতে আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে কড়াভাবে সতর্ক করে দেন বলে জানান-পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান।
প্রসঙ্গত, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি প্রদীপ কুমার দাশ আদালতের কাটগড়ায় থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যম ভাইরাল হয়। তখন আসামি প্রদীপ আদালতের কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় আশপাশে পুলিশ ও কয়েকজন ব্যক্তি দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপকে কথা বলার জন্য মোবাইলটি সরবরাহ করেছিলেন সেখানেই দায়িত্বরত এক পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
তিনি জানিয়েছেন, এসটিআই শাহাব উদ্দিনসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।