পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘গো অ্যাহেড’ কমান্ডের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বংশাল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা জানান।
তাপস বলেন, খুনি কর্নেল রশিদ, ফারুক রহমান কুমিল্লায় গিয়ে মোশতাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই ষড়যন্ত্র করেছিল। তারপর ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে সেনানিবাসে জিয়াউর রহমানের বাসায় গিয়ে এই কাজে জিয়াউর রহমানকে সম্পৃক্ত করে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হয়েও সেদিন হত্যাকারীদের বলেছিল ‘গো অ্যাহেড’। সেনা নীতিমালায় যখন একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কোনো অধস্তন কর্মকর্তাকে বলে ‘গো অ্যাহেড’, তার মানে এটা একটা নির্দেশ, এটা কমান্ড এবং অধস্তন কর্মকর্তা সেটা পালন করতে বাধ্য। তাই জিয়াউর রহমান সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিল রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করতে। সুতারাং জিয়াউর রহমান খুনি, সে খুনের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সামগ্রিক কর্মকান্ড প্রমাণ করে সে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যখন জানতে পারলো অধস্তন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে, প্রেসিডেন্টকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে, প্রচেষ্টা করছে, তখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্ব ছিল অধস্তন কর্মকর্তাদের আটক করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া। মার্শাল-ল-কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। জিয়াউর রহমান সেটা নেয়নি। বরং সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, জিয়া মুক্তিযোদ্ধার আবরণে মূলত পাকিস্তানের এজেন্ট ছিল। তা প্রমাণিত। একজন মুক্তিযোদ্ধা কখনো রাজাকার, আলবদরদের নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে না। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিতে পারে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এ সময় প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়া যদি বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত না থাকত তাহলে কেন ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়েছিল? কেন খুনিদের রক্ষা করছিল? কেন খুনিদের দূতাবাসে দূতাবাসে পদায়ন করেছিল?
বংশাল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন বাদলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হেসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।