মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অদ্ভুত এক সংকটের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। আর সেটি হলো, শিক্ষার্থীদের আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত স্কুলবাসগুলো চালানোর মতো দক্ষ চালক পাওয়া যাচ্ছে না। নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দিয়েও দক্ষ চালকের দেখা মিলছে না। ফলে মহামারীর ছুটি কাটিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিতে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। খবর এপি। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা যেন শিক্ষার্থীদের নিজ ব্যবস্থাপনায় স্কুলে পাঠান, সেজন্য উল্টো তাদের অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পিটসবুর্গ জেলার স্কুলগুলো তো স্কুলবাস চালক সংকটের কারণে সশরীরে ক্লাস কার্যক্রমই শুরু করতে পারছে না। দেশটির ৮০ শতাংশ জেলার স্কুলগুলো চালক সংকটে ভুগছে বলে সা¤প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র জুড়েই স্কুলগুলোর কর্তৃপক্ষ চালকদের জন্য বিশেষ বোনাস, বাণিজ্যিক চালক হিসেবে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া এবং ঘণ্টাপ্রতি মজুরি বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছে। পাশাপাশি যে চালকদের এক বছরের বেশি বয়সী সন্তান আছে, তারা যেন গাড়ি চালানোর সময় তাকেও সঙ্গে রাখতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এতে ওই চালকের সন্তানকে শিশু দিবাযতœ কেন্দ্রে পাঠানোর খরচও কমে যাবে। তার পরও মিলছে না দক্ষ চালকের খোঁজ। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলতে বিলম্ব হচ্ছে কর্তৃপক্ষগুলোর। আর এর একটি বড় কারণ হলো স্কুলবাস চালানোর জন্য চালক পাওয়া যাচ্ছে না। এমনিতেই মহামারীর কারণে শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। তার ওপর নতুন এ সংকট ভাবাচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। স্কুল রাইড সার্ভিস কোম্পানি হপস্কিপ ড্রাইভের সহপ্রতিষ্ঠাতা জোয়ানা ম্যাকফারল্যান্ড বলেন, চালকের এ সংকট নতুন নয়। কিন্তু মহামারীর পর বেশির ভাগ খাতেই যে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে, সেটির কারণে চালকের সংকট আরো বেড়ে গেছে। স্কুলবাসের মতো বড় বাস চালানোকে উৎসাহিত করতে ফার্স্ট স্টুডেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষামূলক ইভেন্টের আয়োজন করে। স্কুলবাস চালানো যে খুব কঠিন কাজ নয়, সেটিই সাধারণ চালকদের মনে ঢুকিয়ে দিতে চায় তারা। প্রত্যাশা ছিল, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি থেকে স্কুলে আনা-নেয়া করার জন্য যোগ্য মানুষ পাওয়া যাবে। মূলত স্কুলবাস চালানো নিয়ে চালকদের মধ্যে যে ভীতি আছে তা দূর করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তার পরও কাক্সিক্ষত সাড়া মেলেনি। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ সময়ে সন্তানদের স্কুলবাস ছাড়া স্কুলে পাঠাতে হলে তা অভিভাবকদের জন্য বাড়তি সমস্যা সৃষ্টি করবে। সে কারণেই হন্যে হয়ে উপযুক্ত চালক খোঁজা হচ্ছে। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।