Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঞ্চল্যকর মেজর (অবহঃ) সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ গ্রহণ চলছে- সকল আসামীর ফাঁসির দাবী করেন বাদী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩২ পিএম

মেজর (অব.) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামিকে দ্বিতীয় দিনের মতো কক্সবাজার আদালতে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার পরে কারাভ্যানে করে তাদেরকে আদালতের উদ্দেশ্যে হাজির করা হয়।

সকাল ১০টার পর সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় আদালতে দেশের আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করা হয়।
টানা তিন দিন এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

এরপর বেলা ১১টার দিকে নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস সাক্ষ্য দেন।তিনি সকল আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবী করেন।

এই তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে এ মামলার ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১৫ সাক্ষীকে সমন জারি করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথম দিন মামলার বাদী মেজর (অবঃ) সিনহার বোন শারমিন ফেরদৌসের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করা হয়েছে। মঙ্গলবার একই সময় আবারও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

সাক্ষীরা হলেন, শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী, শামলাপুর এলাকার মোঃ আবদুল হামিদ, মোঃ ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ, মহিবুল্লাহ, মোঃ আমিন, মোঃ কামাল হোসেন ও মোঃ শওকত আলী, রামু সেনানিবাসের সার্জেন্ট মোঃ আইয়ুব আলী, সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী ও রণধীর দেবনাথ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশাবুনিয়া গ্রামের হাফেজ জহিরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।

 



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৪ আগস্ট, ২০২১, ৫:৪৩ পিএম says : 0
    ফাঁসি ফাঁসি এই কথাটা বাদ দিলেই ভালো হবে,ফাঁসি কার্যকর করা হয়ে গেলে তার শাস্তি কেমনে হলো,ফাঁসি না দিয়ে যেই হাত দুটি দিয়ে গুলি করেছে এবং যে জুতা দিয়ে মেজর সিনহা কে মুখে চাপ মেরেছে তাহা জরুরি কেটে দিতে হবে,এই ভাবে যত জন এই হত্যা কান্ডের সাথে ছিল সবাই কে এই সাজা দেওয়া হউক ।আজীবন জেল এবং মৃত্যু দণ্ড কার্যকর,এই গুলি করলে কি বিচার হলো,সাজা কি হলো,আরামে কেউ কবরে ঘুমাইবে,আবার কাউকে দুনিয়ার জাহান্নমের আগুনে পুড়ে ছাই করবে,সাজা খতম,তাই না করে সবাইকে দুই হাত দুই পা গিরা পযন্ত কেটে রাস্তায় ফেলে রাখতে হবে,জনগণ দেখবে এবং গায়ে থে থে মারবে,তাতে দেশে অনন্যায় অবিচার কমে যাবে,ফাঁসি দিয়ে একবার শেষ করে দিলে বিচার হলো কি ভাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shojib(kolkata) ২৫ আগস্ট, ২০২১, ৩:১৩ এএম says : 0
    OC PRODIP IS A SERIAL KILLER AND HE KILLED ABOUT 264 PEOPLE INCLUDING MAJOR SINHA. HE WOULD HAVE CONTINUED HIS KILLING MISSIONS IF HE WASN'T CAUGHT IN THIS INCIDENT. OC PRODIP AND HIS ASSISTANT THAT HELPED HIM KILL INNOCENT PEOPLE SHOULD BE HANDED OVER TO THE PUBLIC. PRISON IS A FIVE STAR VACATION SUIT FOR THEM BECAUSE POLICE WILL NOT DO THEIR JOB PROPERLY IN EXCHANGE OF MONEY. PRODIP'S HANDS, LEGS EARS, PENIS NEED TO BE CUT OF INCLUDING TAKING HIS EYS OUT. OC PRODIP IS ALSO AN INDIAN RAW AGENT THUS HIS JUSTICE SHOULD BE DONE AS SAID HERE AND LET HIM GET TASTE OF DEVASTATED LIFE. EVEN THIS ISN'T ENOUGH BECAUSE HE KILLED 264 PEOPLE. CUT PRODIP'S HANDS, LEGS, EARS, PENIS AND TAKE OUT HIS EYES. I'm demanding this from kolkata.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ