রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা পান চাষে উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চলের পানের সুখ্যাতি বহু পরনো। এখানে সাধারণত দু’জাতের পান উৎপাদন হয়। মিষ্টি পান আর সাচি পান। এখানকার মিষ্টি পান ৮টি দেশে রপ্তানি করা হয়। তবে সরকারী পৃষ্টপোষকতা না থাকায় পান চাষীরা মাঝে মধ্যেই বেকায়দায় পড়তে হয়। কয়েকজন পান চাষী জানান, বালিয়াকান্দি উপজেলার আড়কান্দি, বেতেঙ্গা, চরআড়কান্দি, ইলিশকোল, স্বর্প বেতেঙ্গা, খালকুলা, বালিয়াকান্দি, বহরপুর এলাকায় ব্যাপক পানের আবাদ হয়। তাদের পূর্ব পুরুষের আমল থেকে পানের চাষ করে আসছেন। পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারাও পান চাষ করছে। পান চাষ লাভজনক হলেও তাদের মাঝে মধ্যে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। রোগ হলে সঠিক পরামর্শ পায় না। এ অঞ্চলের সাচি ও মিষ্টি পান প্রচুর জন্মে। তবে সরকারী কোন পৃষ্টপোষকতা নেই। মিষ্টি পান রাজবাড়ী জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার চাহিদা মিটিয়ে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপালসহ ৮টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়। পান চাষীরা জানায়, গত বছর পানের গোড়া পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে লোকসান গুনতে হয়। এ বছর লাভের আশা করলেও আগামী বৃষ্টির মৌসুমে কি হবে সেই শঙ্কা বিরাজ করছে। পানের রোগ হলে বিপদে পড়তে হয়। কৃষি কর্মকর্তারাও কোন পরামর্শ দিতে পারে না। তাই বিষয়টি নিয়ে গবেষণার দাবি জানানো হয়। পান চাষীরা আরো জানায়, অর্থকরী ফসল পান হলেও তাদের নেই কোন সহযোগিতা। কৃষি অফিস থেকেও তাদের কোন প্রকার সহযোগিতা মেলে না। সরকারী ভাবে তাদেরকে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করলে পান চাষকে আরো লাভজনক ও জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব হবে। বালিয়াকান্দি পান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পানের আড়ত বসেছে। পান চাষীরা পান ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করছে। এখানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পানের ব্যাপারীরা এসে পান ক্রয় করছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলী খান জানান, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বালিয়াকান্দি উপজেলাতে ৬৫৮টি মিষ্টি পানের বরজ, ১৫৬টি সাচি পান বরজসহ ৮১৪টি বরজে চাষ হয়েছে। ৬৮ হেক্টর মিষ্টি পান ও ১৬ হেক্টর সাচি পানসহ ৮৪ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ করা হয়েছে। এখানকার মিষ্টি পান এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ৮টি দেশে রপ্তানি করা হয়। তবে পানের কোন পুস্তক ও রোগের বিষয়ে কোন প্রতিকারের উদ্ভাবনী ওষুধের ব্যবস্থা না থাকায় মাঝে মধ্যে অসুবিধায় পড়তে হয়। তিনি পান চাষীদেরকে পরামর্শ প্রদান করা হয় বলেও জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।